বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শাহ ফতেহ আলী (রহঃ) এর মাজার সংলগ্ন চেলোপাড়া ব্রীজ থেকে উত্তরে পুরাতন ব্রীজ পর্যন্ত এলাকায় করতোয়ার পূর্ব পাড়ে দিনে দুপুরে মাটি কেটে নদীর পাড় ভরাট করে জায়গা দখল করা হচ্ছে ভর দুপুরে।
বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ড, বগুড়া সদরের এসি ল্যান্ড , ভুমি অফিস, জেলা প্রশাসনের কেউই এখবর জানেনা। সকলেরই উদাসীনতায় চলছে জবর দখল । ফলে পানির অভাবে বগুড়ার এই ঐতিহাসিক নদীটি শুকিয়ে পংকিল নর্দমায় পরিণত হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে। হতাশ জনগনের মন্তব্য নদীটির কি তবে এভাবেই বিলুপ্তি ঘটবে ?
শত শত লোকের চোখের সামনে নদী ভরাটের দৃশ্য থেকে বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তা ব্যক্তিদের সংগে কথা বলে জানা যায় , অফিসিয়ালী তারা এই ঘটনাটি অবগত নন। এবিষয়ে কথা বার্তা বলার জন্য রোববার অফিস টাইমে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বগুড়া পৌরসভার ১ নম্বর প্যানেল মেয়র পরিমল চন্দ্র দাস জানান, ওই জায়গায় একটি মন্দির রয়েছে। মন্দির সংলগ্ন জায়গার ভাঙন রক্ষায় শুষ্ক মওশুমের সুযোগে সামান্য ৫/ ৬ ফিট জায়গা লেভেল করে নেওয়া হচ্ছে । কোন দখলবাজি করা হচ্ছেনা।
নদীর জায়গা এসকেভেটোরে খুঁড়ে পাড় ভরাট করার ব্যাপারে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে কি না ? জানতে চাইলে কাউন্সিলর পরিমল জানান, এই সামান্য ব্যাপারে জানাবর প্রয়োজন বোধ করিনি । মাটি কেটে ভরাটের কাজে ব্যবহ্যত এসকেভেটোরটি পৌরসভার কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওটা ব্যাক্তি মালিকানার । মালিকের কাছে ভাড়া নিয়ে কাজ করা হচ্ছে ।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশকিছু মানুষ অভিযোগ করেন , ওখানে কোন মন্দির নেই ,ছিলোও না। ওটা রেলওয়ের পরিত্যক্ত জায়গা । দীর্ঘদিন পতিত পড়েছিল । ১/১১ এর সময় তৎকালীন সরকারের কনসেপ্ট অনুযায়ি সেখানে চাষী বাজার গড়ে তোলা হয় । আওয়ামীলীগ সরকারের সময় থেকে ওটা মাছের পাইকারি আড়ত হিসেবে ব্যবহ্যত হয়ে আসছে। ফলে জায়গাটির ভ্যালু অনেকগুন বেড়েছে । মুলত সেকারনেই আড়তের পাশের জায়গাটি ভরাট করা হলে সেখানে ৫০ থেকে ১০০ দোকানের পজেশান বিক্রি করে প্রভাবশালী রাতরাতি কয়েককোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বগুড়া শহরের একপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর পাড়ের বসবাসকারিরা ধনী ও প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তাদের দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।