ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফর্মের মূল্য বৃদ্ধি করে প্রতি ইউনিট ১১০০ টাকা করা ও বাছাই করার নামে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত করার অমানবিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
শুক্রবার ৩০ এপ্রিল আহ্বায়ক শোভন রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদের পক্ষে পাঠানো সুমাইয়া ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা মহামারীতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত খাত শিক্ষা খাত। এক দীর্ঘ অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনযাপন করছেন শিক্ষার্থীরা। এক দিকে মানসিক চাপ, অন্যদিকে অর্থনৈতিক চাপ, সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বিপন্ন। এরই মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি ভর্তি ফর্মের মূল্য বৃদ্ধি করে ইউনিট প্রতি ১১০০ এবং ইন্সটিটিউটগুলোর জন্য ৭০০ টাকা ধার্য করেছে। আগের বছরও এই ফি ছিল যথাক্রমে ৬০০ ও ৪০০ টাকা।
যেখানে মহামারীর কথা বিবেচনায় নিয়ে ফর্মের মূল্য বরং কমানোর কথা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্পূর্ণ অবিবেচনাপ্রসূত ভাবে সেই মূল্য প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তার পাবলিক চরিত্র হারিয়ে আরও স্পষ্ট রূপে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের চরিত্রে অবনমন ঘটালো।
মহামারীর সুযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এহেন ভর্তি ফর্ম বাণিজ্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রশাসনকে এই অমানবিক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাই।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এবছর করোনার কারণে এইচ এস সি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে প্রকৃত অর্থে শিক্ষার্থীদের মেধার মূল্যয়ন অপূর্ণাঙ্গ রয়ে গেছে। তার ওপর ভিত্তি করে যদি আবার বাছাই করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়, এটা একদিকে যেমন তাদের প্রতি অবিচার করা হবে, অন্যদিকে অহেতুক জটিলতায় অনেক যোগ্য শিক্ষার্থীরও পরীক্ষা দিতে না পারার সম্ভবনা তৈরি হবে।
সামগ্রিকভাবে শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর সুদূরপ্রসারী ও মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। আমরা এই বাছাই এর নামে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত করার অপচেষ্টার প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, মহামারীর মত বিশেষ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। অন্যথায় আমরা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে প্রশাসনকে বাধ্য করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।