মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের ধাক্কায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ভারতে। ইতোমধ্যেই প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এমনকি মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যাও বেশি বলে দাবি করেছেন তারা। গতকাল বুধবার পর্যন্ত ভারতে প্রায় ২ লাখ ১ হাজার ১৮৭ জন করোনাভাইরাসে মারা গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসল মৃত্যুর সংখ্যা ৯ লাখ ৯০ হাজারের কাছাকাছি হতে পারে।
সংবাদসংস্থা সিএনএন-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এ দাবি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা নথিভুক্ত মৃত্যুর প্রায় ৩০ গুণ। অর্থাৎ সঠিক নথিভুক্তি হলে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়াত বলেই দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। নয়াদিল্লির সেন্টার ফর ডিজিজ ডাইনামিক্স ইকোনোমিক্স অ্যান্ড পলিসি-র ডিরেক্টর রামনন লক্ষèীনারায়ণ বলেন, ‘আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় যে অনেক গরমিল রয়েছে তা প্রায় সবাই জানেন। গত বছর আমরা হিসেব করে দেখেছিলাম প্রতি ৩০ জনের মধ্যে ১ জনের সংক্রমণ পরীক্ষায় ধরা পড়েছে। মৃত্যুও অনেক কম নথিভুক্ত হচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের চিফ সায়েন্টিস্ট সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, ‘এখন ভারতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। প্রতি দিন প্রায় ২০ লাখ নমুনা পরীক্ষা করছি আমরা। কিন্তু এখনও সেটা সন্তোষজনক নয়। এখন ভারতে সংক্রমণ হার ১৫ শতাংশ। দিল্লির মতো কিছু শহরে সেটা ৩০ শতাংশ। এতে বোঝাই যাচ্ছে, আগে নমুনা পরীক্ষা কম হত বলেই অনেক আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যেত না।’
স্বামীনাথন আরো বলেন, ‘আমরা সার্ভে করার সময় দেখেছি, অনেক মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি রয়েছে। অর্থাৎ কোনো না কোনো সময় তারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। অর্থাৎ যা নথিভুক্ত হয়েছে তার থেকে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ২০ থেকে ৩০ গুণ।’
মৃত্যুর ক্ষেত্রেও এ সমস্যা দেখা যাচ্ছে। হেমন্ত শেওয়ারে নামের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন যে, ভারতে অসংখ্য মৃত্যু নথিভুক্ত হয় না। কারণ হাসপাতালের থেকে অনেক মৃত্যু বেশি মানুষের বাড়িতে বা অন্য জায়গায় হয়। মৃত্যুর কারণ লিখে শংসাপত্র দেওয়ার জন্য সেখানে চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন না। কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে হাসপাতালে শয্যার অভাব দেখা দিয়েছে। বাড়ি বা রাস্তাঘাটে অনেক আক্রান্তের মৃত্যু হচ্ছে। সেগুলো হিসেবেই থাকছে না।
এ প্রসঙ্গে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োস্ট্যাটিসটিক্স ও এপিডেমায়োলজির অধ্যাপক ভ্রমর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এ সময় বিভিন্ন শহরে যেভাবে গণহারে কোভিড আক্রান্তদের শেষকৃত্য হচ্ছে তাতেই বোঝা যাচ্ছে প্রকৃত মৃত্যুর বেশির ভাগই নথিভুক্ত হয়নি। আমাদের ধারণা নথিভুক্ত হওয়া মৃত্যুর থেকে প্রায় ৫ গুণ প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা।’ সূত্র : সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।