Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়াত

নথির বাইরে ৩০ গুণ বেশি সংক্রমণ-মৃত্যুর তথ্য : সিএনএন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের ধাক্কায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ভারতে। ইতোমধ্যেই প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এমনকি মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যাও বেশি বলে দাবি করেছেন তারা। গতকাল বুধবার পর্যন্ত ভারতে প্রায় ২ লাখ ১ হাজার ১৮৭ জন করোনাভাইরাসে মারা গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসল মৃত্যুর সংখ্যা ৯ লাখ ৯০ হাজারের কাছাকাছি হতে পারে।

সংবাদসংস্থা সিএনএন-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এ দাবি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা নথিভুক্ত মৃত্যুর প্রায় ৩০ গুণ। অর্থাৎ সঠিক নথিভুক্তি হলে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়াত বলেই দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। নয়াদিল্লির সেন্টার ফর ডিজিজ ডাইনামিক্স ইকোনোমিক্স অ্যান্ড পলিসি-র ডিরেক্টর রামনন লক্ষèীনারায়ণ বলেন, ‘আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় যে অনেক গরমিল রয়েছে তা প্রায় সবাই জানেন। গত বছর আমরা হিসেব করে দেখেছিলাম প্রতি ৩০ জনের মধ্যে ১ জনের সংক্রমণ পরীক্ষায় ধরা পড়েছে। মৃত্যুও অনেক কম নথিভুক্ত হচ্ছে।’

এ প্রসঙ্গে ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের চিফ সায়েন্টিস্ট সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, ‘এখন ভারতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। প্রতি দিন প্রায় ২০ লাখ নমুনা পরীক্ষা করছি আমরা। কিন্তু এখনও সেটা সন্তোষজনক নয়। এখন ভারতে সংক্রমণ হার ১৫ শতাংশ। দিল্লির মতো কিছু শহরে সেটা ৩০ শতাংশ। এতে বোঝাই যাচ্ছে, আগে নমুনা পরীক্ষা কম হত বলেই অনেক আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যেত না।’

স্বামীনাথন আরো বলেন, ‘আমরা সার্ভে করার সময় দেখেছি, অনেক মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি রয়েছে। অর্থাৎ কোনো না কোনো সময় তারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। অর্থাৎ যা নথিভুক্ত হয়েছে তার থেকে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ২০ থেকে ৩০ গুণ।’

মৃত্যুর ক্ষেত্রেও এ সমস্যা দেখা যাচ্ছে। হেমন্ত শেওয়ারে নামের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন যে, ভারতে অসংখ্য মৃত্যু নথিভুক্ত হয় না। কারণ হাসপাতালের থেকে অনেক মৃত্যু বেশি মানুষের বাড়িতে বা অন্য জায়গায় হয়। মৃত্যুর কারণ লিখে শংসাপত্র দেওয়ার জন্য সেখানে চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন না। কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে হাসপাতালে শয্যার অভাব দেখা দিয়েছে। বাড়ি বা রাস্তাঘাটে অনেক আক্রান্তের মৃত্যু হচ্ছে। সেগুলো হিসেবেই থাকছে না।

এ প্রসঙ্গে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োস্ট্যাটিসটিক্স ও এপিডেমায়োলজির অধ্যাপক ভ্রমর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এ সময় বিভিন্ন শহরে যেভাবে গণহারে কোভিড আক্রান্তদের শেষকৃত্য হচ্ছে তাতেই বোঝা যাচ্ছে প্রকৃত মৃত্যুর বেশির ভাগই নথিভুক্ত হয়নি। আমাদের ধারণা নথিভুক্ত হওয়া মৃত্যুর থেকে প্রায় ৫ গুণ প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা।’ সূত্র : সিএনএন।



 

Show all comments
  • Muhammad Murad Islam ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১:০৩ এএম says : 1
    প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের এখনকার সময়ে কাশ্মীরের কথা স্মরণ করা উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • Habibur Rahman ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১:০৪ এএম says : 0
    হে আল্লাহ আপনি মহান, আপনি রহমানের রাহিম, আপনি আমাদের অভিভাবক, আপনি সারা পৃথিবীর মানবজাতিকে করোনা নামক মহামারী থেকে রক্ষা করুন, আমিন আমিন আমিন।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ekramul Hoque ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১:০৬ এএম says : 0
    একটা প্রতিবেদন তৈরি করুন ভারতের মতো পরিস্থিতি হলে বাংলাদেশের অগ্রীম প্রস্তুতি সম্পর্কে। আমার মনে হয় বাংলাদেশও ভারতের মতো পরিস্থিতি হবে তাই সরকারকে প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দিয়ে মিডিয়া গুলো ভালো অবদান রাখতে পারেন।
    Total Reply(1) Reply
    • Harunur Rashid ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ৭:১৩ এএম says : 0
      Think positive man. Insha Allah it won't happen in Bangladesh.
  • Mydul Islam ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১:০৭ এএম says : 0
    ভারত সরকার এবং জনগণের চরম অবহেলা তাদের কাবু করেছে। আশা করি বাংলাদেশও সেটা থেকে শিক্ষা নিচ্ছে। এই কঠিন মুহূর্তে বেশি প্রয়োজন নিজ নিজ মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তনের।
    Total Reply(0) Reply
  • Mainul Hasan Raju ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১:০৮ এএম says : 0
    এই যে মৃত্যুটা বাড়লো, এটি ভ্যাকসিন নেয়ার পরই বাড়ছে। এবং মৃত্যুর অধিকাংশ ভ্যাকসিন গ্রহনকারী। তাহলে টিকার সাইডইফেক্টে এত মানুষ মারা গেলেও মিডিয়া এই সত্য কেন চাপা রাখছে। মিডিয়া কেন ভ্যাকসিন কোম্পানির স্বার্থ রক্ষায় মড়িয়া? মরছে ভ্যাকসিনের সাইডইফেক্টে অথচ বলা হচ্ছে অক্সিজেন সংকট, বিভিন্ন দেশের ভ্যারিয়েন্ট ইত্যাদি। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত।
    Total Reply(1) Reply
    • Harunur Rashid ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ৭:১৭ এএম says : 0
      Made in modi's India. Who knows what they are(Sirum) doing. This is the reason need to buy stuff from reputable country even it may cost more.
  • MD Anarul Islam ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১:০৮ এএম says : 0
    ভারতে মৃতদেহ সত্কার করতে যে পরিমাণ গাছ কাটা হচ্ছে, তাতে করে দেখা যাবে ভবিষ্যতে সুস্থ মানুষ অক্সিজেনর অভাবে মরে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • SalMa ShaKir ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১:০৯ এএম says : 0
    দিল্লীর নিযামুদ্দীন মার‍কাযের পাশের এপার্টমেনটে আমি ১ বছর ছিলাম,,, আসার পরেও তাদের বহু পরিবারের সাথে আমার অনেক বেশী পরিমাণে আন্তরিকতা-যোগাযোগ আছে আলহামদুলিল্লাহ,,,১৫/২০ টা পরিবারের সাথে আমার প্রায় রোজই কথা হয়,,, গতকাল ও দীর্ঘক্ষণ কথা হলো,,,এতোগুলো পরিবারের মাঝে কেবলমাত্র ১ জন আন্টির পজিটিভ এসেছিলো গতকাল উনারও আলহামদুলিল্লাহ নেগেটিভ এসেছে.... আমি উনাদের জিজ্ঞেস করলাম উনাদের সবার কি অবস্থা তারা জানালো উনারা সবাই ভালো আছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি সবার সাথে ভিডিও কলেও কথা বলছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Saidur Rahman ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১:১০ এএম says : 0
    ভারতের এই ভয়াবহতা দেখিয়েও বাংলাদেশের মানুষকে সচেতন করা যাবে কিনা সন্দেহ আছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Jahangir Hossain ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১:১২ এএম says : 0
    ভারতের মিডিয়ায় মৃত্যুর যে চিত্র দিচ্ছে ।প্রকৃত চিত্র। তার চারগুন বেশী ।এখনই বাংলাদেশর বর্ডার। সিল করতে হবে। নতুবা দেশের অবস্থা ভারতের চেয়ে খারাপ হবে। আর আমাদের চিকিৎসা ব্যাবস্থার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে। এখন নিশ্চয়ই সবাই জানেন। চিকিৎসায় আমরা সিংগাপুর বা লন্ডন হয় গেছি ।।এখন শুধু গাছের মাথায় ওঠা বাকী । সুতরাং ভারতের সাথে সব রকমের যোগাযোগ এখনই বন্ধ করতে হবে।
    Total Reply(1) Reply
    • Harunur Rashid ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ৭:২২ এএম says : 0
      You are great !
  • বাতেন ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ৩:০১ এএম says : 0
    আমার বলার কিছু নাই। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ