বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তিন জেলায় বজ্রপাতে ‘বিজিবি সদস্যসহ’ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫ জন। নিহতদের মধ্যে সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের দুইজন করে, নেত্রকোণায় একজন। গতকাল সকালে এসব বজ্রপাত হয় বলে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ধান কাটা গিয়ে বজ্রপাতে ফখরুল ইসলাম ( ৪৭) ও ফজলু হক ( ৪৫) নামের দুই সহোদরের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৩জন আহত হয়েছেন। আহতদের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। নিহত ফখরুল ইসলাম ও ফজলু হক গ্রামের মৃত আবদুল মুনাফের ছেলে। আহতরা হলেন, একই গ্রামের শাহরুকের ছেলে লাদেন (২০), মৃত বুলু মিয়ার ছেলে সাজনুর (৫৫) ও আব্দুল আহাদের ছেলে হাবিব (৩৫)। গতকাল সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর গ্রামের পাশের হাওরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে ফখরুল ও ফজলু দুই সহোদর গ্রামের লাদেন, সাজনুর ও হাবিবকে নিয়ে গ্রামের পাশের হাওরে ধান কাটতে যান। সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ফখরুল ও ফজলু । আহত লাদেন, সাজনুর ও হাবিবকে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দিরাই থানার ওসি আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী জুড়ী উপজেলায় বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে উপজেলার ফুলতলা চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন- ফুলতলা চা বাগানের নন্দ ভ‚মিজের ছেলে রমণ ভ‚মিজ (২৭) ও একই চা বাগানের শ্যামল ভ‚মিজের মেয়ে ললিতা ভ‚মিজ (১৩)। ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ইমতিয়াজ গফুর মারুফ বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই এলাকায় বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির একপর্যায়ে বিকট শব্দে নন্দ ভ‚মিজের ঘরে বজ্রপাত আঘাত হানে। এ সময় ঘরে থাকা রমণ ভ‚মিজ ও ললিতা ভ‚মিজ ঘটনাস্থলেই মারা যান। জুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, বজ্রপাতে দুজন মারা গেছেন। এদের একজন শিশু আর আরেকজন চা শ্রমিক। ঘটনার সময় তারা বাড়িতেই ছিলেন।
নেত্রকোনা : নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বাড়ির আঙিনায় খড়ের গাদা তৈরি করার সময় বজ্রপাতে আলমগীর হোসেন (২৬) নামে বিজিবির এক সদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বাড়লা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত বিজিবি সদস্য আলমগীর হোসেন বাড়লা গ্রামের ইছাক মিয়ার ছেলে। তিনি খাগড়াছড়ি ২৩ বিজিবি ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী ও ৩ বছর বয়সের এক ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বাড়লা গ্রামের বাসিন্দা সালেহা আক্তার জানান, দুদিন আগে ছুটিতে বাড়ি আসে আলমগীর হোসেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি তার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির আঙিনায় শুকনো খড়ের গাদা তৈরি করছিলেন।
এ সময় বজ্রপাতে আহত হন খড়ের গাদার উপরে কাজ করতে থাকা বিজিবি সদস্য আলমগীর। পরে তাকে প্রথমে তাড়াইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সেখান থেকে কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।