বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবশেষে দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র বিমান বন্দরের সাথে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান-এর ফ্লাইট বন্ধের সব আয়োজন চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ দাবী বিমান-এর নিয়মিত যাত্রীদের।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির প্রথম প্রভাতে গত ২৬ মার্চ থেকে বরিশালের আকাশে ডানা মেলে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান। বরিশাল সদর আসনের এমপি ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম সেদিন বিমান-এর সদ্য সংগ্রহ করা ৭৪ আসনের ‘ড্যাস-৮ কিউ-৪০০’ উড়জাহাজ নিয়ে বরিশাল বিমান বন্দরে অবতরন করে অনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধনও করেন। ঐদিন সন্ধায় বরিশালের একটি অভিজাত হোটেলে বিমান-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মী ও ট্রাভেল এজেন্টদের সাথে এক অনুষ্ঠানে মত বিনিময় করেন। সে অনুষ্ঠানও অংশগ্রহনকারী অনেকে বিমান ফ্লাইট-এর স্থয়ীত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন।
তারই প্রতিফলন হিসেবে মাত্র ৯ দিনের মাথায় ৪ এপ্রিল বরিশাল সেক্টরে দৈনিক ফ্লাইটটি সপ্তাহে ৩দিনে সিমিত করা হয়। তবে করোনা সংকটের কারনে ঐদিনই সারা দেশের অভ্যন্তরীন সেক্টরে সব উড়ান বন্ধ হয়ে যায়।
সরকারী নির্দেশে গত ২২ এপ্রিল থেকে কক্সবাজার বাদে দেশের অন্য সবগুলো অভ্যন্তরীন সেক্টরে ফ্লাইট চলু হয়। সে থেকে বরিশাল সেক্টেরেও আগের সিডিউল অনুযায়ী বিমান প্রতিদিন সকালে ফ্লাইট পরিচলন করে আসছিল। ফলে ধীরে ধীরে যাত্রী সংখ্যাও বাড়ছিল। এমনকি যশোরের চেয়ে বরিশাল সেক্টরে তুলনামূলকভাবে বেশী যাত্রী বিমান-এ ভ্রমন করছিলেন।
কিন্তু এক সপ্তাহের মাথায়ই ২৯ এপ্রিল থেকে দৈনিক ফ্লাইট সপ্তাহে ৩ দিনে সংকোচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নতুন সিদ্ধন্ত অনুযায়ী রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকালে ও বিকেলে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালন-এর সিডিউল ঘোষনা করে বিমান কতৃপক্ষ। ফলে যাত্রীদের মাঝে হাতাশার সাথে যথেষ্ঠ ক্ষোভও সৃষ্টি হয়।
ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। বুধবার বরিশাল বিমান অফিসে অনেক যাত্রী টিকেট সংগ্রহ করতে গিয়ে জানতে পারেন বরিশাল সেক্টরে ফ্লাইট সিডিউল আবারো পরিবর্তন করে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার তিন দিন শুধুমাত্র সকালে ৩টি ফ্লাইট পরিচালন করবে বিমান।
গত ২৬ মার্চ বরিশাল সেক্টরে রাষ্ট্রীয় বিমান-এর ফ্লাইট চালু হবার পরে ২৮ এপ্রিল (বুধবার) পর্যন্ত যে ১৭ দিন যাত্রী পরিবহন করেছে, তাতে মাত্র পাঁচবার ফ্লাইটের সময়সূচী পরিবর্তন করা হল। এর পরেও বিমান কতৃপক্ষ ‘বরিশাল সেক্টরে ফ্লাইট পরিচালনে অন্তরিক’ বলে যে দাবী করছে তা যাত্রীদের কাছে এখন আর বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মন্তব্য অনেকেরেই ।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার বিমান-এর বরিশাল সেলস অফিসের সামনে কয়েক যাত্রীর সাথে প্রতিবেদকের আলাপ হলে তারা হতাশার সাথে ক্ষোভও প্রকাশ করেন। তাদের বক্তব্য, বিমান গত ২৬ বছরে কোন দিনই বরিশাল সেক্টরে ফ্লাইট পরিচালনে আন্তরিক ছিলনা, এখনো নেই। বার বারই নানাভাবে যাত্রী সংকট সহ উড়জাহাজের অভাবের কথা বলে বরিশাল সেক্টরে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বন্ধ করা হয়েছে। এবার উড়জাহাজের সংকটের কথা বলতে না পারলেও ঘন ঘন সিডিউল পরিবর্তন করে যাত্রীদের অনাস্থা তৈরী করে ফ্লাইট বন্ধের পায়তারা করছে বলেও অভিযোগ যাত্রীদের। তাদের দাবী বিমান ২৬ মার্চ থেকে প্রতদিন সকালে এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে যে ফ্লাইট পরিচালন শুরু করেছিল তাই বহাল রাখা হোক।
তবে বুধবার দুপুরে বিমান বরিশাল সেক্টরের সময়সূচী আবার পরিবর্তন করে আগামী ৬ মে পর্যন্ত আগের সময়সূচী অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮ টায় ঢাকা থেকে এবং সকাল ৯.৪০ টায় বরিশাল থেকে চলাচলের নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানান হয়েছে। লকডউন প্রত্যাহারের পরে আবার নতুন সময়সূচী প্রবর্তন হতে পারে বলেও একাধীক সূত্র জানিয়েছে।
তবে এসব ব্যাপারে বরিশাল বিমান অফিসের জেলা ব্যবস্থাপক কোন মন্তব্য করতে রাজী না হলেও সার্বিক পরিস্থিতি সহ যাত্রীদের মনোভাব সদর দপ্তরকে জানান হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক দিনে বিমান সদর দপ্তরে পরিচালক বিক্রয় ও বিপনন এবং ডিজিএম রির্জার্ভেশন-এর সাথে আলাপ করা হলে তারা সকলেই যাত্রী চাহিদা বিবেচনা করেই বরিশাল সেক্টরে ফ্লাইট পরিচালন-এর কথা জনান।
উল্লেখ্য, বরিশাল সেক্টরে এখন বেসরকারী ‘নভো এয়ার’ ও ‘ইউএস-বাংলা এয়ার ওয়েজ’ বিমান-এর চেয়ে ২শ টাকা বেশী ভাড়ায় সকালÑবিকেল নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালন করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।