Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবহারের অনুমোদন দিলো বাংলাদেশ

রাশিয়ার টিকা ‘স্পুটনিক ভি’

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেছেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের পর রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মে মাসের মধ্যেই এই টিকাটি বাংলাদেশে আসবে বলে তিনি জানান। প্রথমে ৪০ লাখ টিকা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পাশাপাশি এই টিকাটি বাংলাদেশে দেয়া হবে। তবে যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেয়েছেন, তারা দ্বিতীয় ডোজ হিসাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাই পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া সিনোফার্মের টিকার অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে বলে তিনি জানান। গতকাল মহাখালীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের এক সভায় টিকা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এখন রাশিয়ার এ টিকা আমদানি ও ব্যবহারে আইনগত বাধা থাকলো না।

মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, রাশিয়া থেকে ‘স্পুটনিক ভি’ টিকা আমদানি করা হবে সরকারি পর্যায়ে। সরকারের একটি কমিটি করা আছে, সেই কমিটির মাধ্যমে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ করে, নেগোশিয়েশন করে, কত অ্যামাউন্ট আসবে, কি দাম হবে, সেটা নির্ধারণ করে এই ভ্যাকসিনটা আমাদের দেশে আমদানি করা হবে বলে উল্লেখ করেন মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।

মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, স্পুটনিক ভি’দুই ডোজের ভ্যাকসিন। অর্থাৎ এটার ক্ষেত্রেও দুইটি ডোজ নিতে হবে। প্রথম ডোজ দেয়ার ২১ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়ার পর এই টিকা নেয়া যাবে কিনা, সেই পরামর্শ দেবেন ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশনক টেকনিক্যাল এক্সপার্ট গ্রুপ (এনআইটিইজি), যারা টিকা বিষয়ে সরকারে কারিগরি পরামর্শ দিয়ে থাকে। তবে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন, তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাই পাবেন বলেন তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা অন্য অনেক দেশ রাশিয়ার তৈরি করা এই টিকার অনুমোদন দেয়নি। তাহলে বাংলাদেশ কোন ক্যাটেগরিতে এই টিকার অনুমোদন দেয়া হলো, জানতে চাইলে মেজর জেনারেল রহমান বলছেন, ‘আমাদের ড্রাগ রেগুলেটরের যে নিয়ম রয়েছে, দেশে যে নিয়ম রয়েছে, তা মধ্যে থেকেই দিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন না থাকলেও আমরা দিতে পারি। জরুরি অনুমোদন হিসাবে আমরা দিয়েছি।

রাশিয়ার টিকা বাংলাদেশে উৎপাদনের বিষয়ে মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলছেন, এ বিষয়ে এখন কথাবার্তা হচ্ছে। আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশে ভ্যাকসিন ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাপাবিলিটি আমাদের রয়েছে। আমাদের দেশে তিনটি ফার্মাসিউটিক্যাল ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারে। ‘বিশেষ করে ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস রাশান কাউন্টারপার্টের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে, যে ভ্যাকসিনটা আমাদের দেশে তৈরি করা যায় কিনা। এটা টেকনোলজি ট্রান্সফারও হতে পারে, আবার বাল্ক নিয়ে এসে তৈরি করাও হতে পারে। দুই ফরম্যাটেই কথাবার্তা হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ, আমাদের দেশেই ভ্যাকসিন তৈরি হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। একই সঙ্গে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই।

মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, দেশের জন্য এখন ভ্যাকসিন প্রয়োজন। কাজেই অলটারনেটিভ যে সোর্সগুলো আছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকো ছাড়াও, অন্যান্য যে সোর্সগুলো আছে, স্পুটনিক, সিনোফার্ম, মর্ডানার ভ্যাকসিন- সব সোর্স থেকেই সরকার এক্সপ্লোর করার চেষ্টা করছে।



 

Show all comments
  • পান্নু ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ২:২১ এএম says : 0
    যাক দেরিতে হলেও বিকল্প কিছু করলো
    Total Reply(0) Reply
  • Robiul Islam ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ২:২২ এএম says : 0
    এটা সরকারের খুব ভালো একটা সিদ্ধান্ত এবং এটা আরও অনেক আগেই করার প্রয়োজন ছিল
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ