Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমতলী ইউএনও অফিসের বিতর্কিত সেই কর্মচারীকে বদলি

এলাকায় মিষ্টি বিতরণ, অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ৬:০৯ পিএম

বরগুনার আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের বিতর্কিত দুর্নীতিবাজ সেই কর্মচারী সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. এনামুল হক বাদশাকে বদলি করা হয়েছে। এনামুলকে বদলির আদেশের খবরে এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে। ওইদিন রাতে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান রবিবার তাকে হতদরিদ্রদের ঘরের তালিকা তৈরিতে অনিয়ম, টাকার বিনিময়ে ধনাঢ্য ব্যক্তি ও আত্মীয়-স্বজনদের ঘর দেয়ার অভিযোগ এনে তাকে আমতলী থেকে বেতাগীতে বদলির আদেশ দেন। এছাড়া এঘটনায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে ১ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

জানাগেছে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে দ্বিতীয় ধাপে আমতলী উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্য ৩’শ ৫০টি ঘর বরাদ্দ দেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই প্রকল্পের গুলিশাখালী ইউনিয়নে ৫০টি ঘর বরাদ্দ দেন ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান। ঘর বরাদ্দে স্বজনপ্রীতি, টাকার বিনিময়ে বরাদ্দসহ নানাবিধ অভিযোগ ওঠে ইউএনও অফিসের সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মো, এনামুল হক বাদসহ খোদ ইউএনওর বিরুদ্ধে। ঘর বিতরনে ঘুষ বানিজ্য ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে এলাকার যুবলীগ নেতা কামাল রাঢ়ী নামে একজন বরগুনার জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিলে ক্ষুদ্ধ হন ইউএনও।শনিবার রাতে ওই অভিযোগকারীকে অপহরন করে কয়েকজন মিলে ইউএনওর বাসায় নিয়ে আটকে রেখে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেন।

‘দরিদ্রদের স্বপ্নের ঘর ধনীদের ভিটায়’ শিরোনোমে দৈনিক ইনকিলাবসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হলে ইউএনও অফিসের বিতর্কিত কর্মচারী সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর এনামুল হক বাদশাকে বরগুনার বেগাতীতে বদলী করার পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে এক সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অভিযুক্ত এনামুল হক বাদশাকে বদলী এবং তদন্ত কমিটি গঠন করায় এলাকায় মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে।

বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত কমিটির প্রধান মোঃ নাজমুল হাসান তদন্ত কমিটির চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেয়া হবে।’

বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমতলীর ঘরের তালিকা তৈরিতে অনিয়মসহ বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বরগুনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ