নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
লকডাউনের কারণে স্থগিত হওয়া ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় লেগের খেলা শুরু হবে ৩০ এপ্রিল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পেশাদার লিগ কমিটির এই সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দিয়েছিল লিগের ১৩ ক্লাবের মধ্যে ৯টি। তবে চার ক্লাব গত সোমবারের ভার্চুয়াল সভাতে আপত্তি জানিয়েছিল। তাদের দাবী দ্বিতীয় লেগ পেছাতে হবে। এবার তারা লিখিতভাবে আপত্তি জানিয়েছে। গতকাল বাফুফেকে দেয়া চিঠিতে চার ক্লাবের মধ্যে লিগ পেছাতে বলেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। যদিও এখনো লিখিত আপত্তি জানায়নি উত্তর বারিধারা ক্লাব। তিন ক্লাবের চিঠি পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাফুফের কম্পিটিশন বিভাগের প্রধান জাবের বিন তাহের আনসারি।
লকডাউন শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পর খেলা শুরু করতে বলেছিল এই চার ক্লাব। কারণ কোন ক্লাবের স্থানীয় ফুটবলাররা ছুটিতে রয়েছেন। আবার কোন ক্লাবের বিদেশিরাও আসতে পারছেন না লকডাউনের কারণে ফ্লাইট বন্ধ থাকায়। কিন্তু লকডাউন শেষ হওয়ার দু’দিনের মধ্যে খেলা শুরু করছে বাফুফে। তাই লিগ পেছানোর আবেদন তাদের। মূলত এই চার ক্লাবই পয়েন্ট টেবিলের নিচে অবস্থান করছে। ১২ ম্যাচ শেষে ৯ পয়েন্ট করে নিয়ে উত্তর বারিধারা দশম ও মুক্তিযোদ্ধা ১১তম, ৫ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাদার্স ১২তম এবং মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে ১৩তম স্থানে রয়েছে আরামবাগ। এই চারটির মধ্য থেকে লিগ শেষ দু’টি ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে নেমে যাবে। তাই অবনমন ঠেকানোর লড়াইটা তাদের মধ্যেই। মাঠে প্রতিদ্ব›দ্বী হলেও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এখন তারা একে অন্যের বন্ধু। সপ্তাহ খানেক লিগ পেছানোর জন্য এই চার ক্লাবের কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত নিজেদের মধ্যে পরিকল্পনা ও আলোচনা করে যাচ্ছেন।
ব্রাদার্সের অন্যতম পরিচালক আমের খান বলেন, ‘আমরা ক্যাম্প, অনুশীলন চালাতে পারিনি এটা আমাদের ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতা অবশ্যই। পয়েন্ট না পেলে অবনমনে যাব দল, এতে কোন সমস্যা নেই। ফুটবলের স্বার্থেই লিগ কয়েকদিন পরে শুরু করতে অনুরোধ করেছি। ৬ মে থেকে খেলা শুরুর দাবী জানিয়েছি আমরা।’
আরামবাগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আমরাও খেলার পক্ষে। তবে আমাদের দাবি হচ্ছে লকডাউন শেষে সাতদিন পর খেলা শুরু হোক।’ দু’ক্লাবই দ্বিতীয় লেগের মধ্যবর্তী দলবদলে ২৫ জন ফুটবলার নিবন্ধন করিয়েছে। এই ফুটবলারদের জন্য খানিকটা সময় প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্রাদার্স ও আরামবাগের কর্তারা। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে আমাদের ক্যাম্প চালিয়ে নেয়ার সামর্থ্য ছিল না। বিপিএলে টিকে থাকতে আমরা দ্বিতীয় পর্বে দু’জন বিদেশি নিয়েছি। ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ। তাই ওই দুই বিদেশি ছাড়া খেলতে পারবো না বলে বাফুফেকে জানিয়েছি। আমাদেরও সময়ের প্রয়োজন।’ উত্তর বারিধারার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমিও ওই তিন ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে একমত। যদিও অসুস্থ থাকায় বাফুফেকে চিঠি দিতে পারিনি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।