মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাস মহামারির তীব্রতার মধ্যে গত মাসের শেষের দিকে বিদেশে টিকা রফতানি স্থগিত করে ভারত। আগে নিজেদের লোকজনকে টিকা দেয়ার ‘যুক্তিতে’ এই পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় সরকার। এখন সেই নীতিই যেন বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে তাদের দিকে। নিজেদের চাহিদা মেটাতে টিকার কাঁচামাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এ সিদ্ধান্ত বদলাতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ টিকা উৎপাদনকারী দেশ ভারত। কিন্তু এক্ষেত্রে যেন ভারতীয়দের সুরেই জবাব দিচ্ছে মার্কিনিরা। ভারতের মতো তারাও বলছে, আগে নিজের চাহিদা, তারপর অন্যের। ফলে অনিশ্চয়তায় পড়েছে ভারতের টিকা উৎপাদনের ভবিষ্যৎ। খবরে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের স্বাস্থ্যসেবা খাত। প্রতিদিনই ভাঙছে মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড। সংক্রমণ রেকর্ড হারে বাড়লেও সেই তুলনায় টিকাকরণ কম হচ্ছে। একাধিক রাজ্য অভিযোগ করছে টিকার ঘাটতি নিয়ে। জানা গেছে, ভারতে টিকা তৈরির কাঁচামাল রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিধিনিষেধ আরোপ করায় এ ঘাটতির অন্যতম কারণ। আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সব নাগরিকের করোনার ভ্যাকসিন দেয়া সম্পন্ন হলেই দেশটি কাঁচামাল রপ্তানি করবে। আর বাইডেন সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তে ভারতের চিন্তা বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। ভারত সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টিকার কাঁচামাল রপ্তানির ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নিতে আবেদন করলেও তাতে কাজ হয়নি। বরং বুমেরাঙ হয়েছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে আমেরিকার প্রত্যেককে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। আগে দেশের মানুষের কথা ভেবেই টিকার কাঁচামাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্তের ফলে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র নয়, পুরো বিশ্বের মানুষের ভালো হবে বলেই দাবি করেছেন প্রাইস। তিনি বলেন, ‘বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছে। তাই এখানকার সবাইকে টিকা না দেয়া হলে পরবর্তীতে ভাইরাসের নতুন কোনো রূপ দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাতে অন্যান্য দেশেরও সমস্যা হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ভারতের রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিংহ সান্ধুও এবিষয়ে কথা বলেছেন। জানা গেছে, নয়াদিল্লিকে বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, ভারতে টিকা তৈরির ক্ষেত্রে যাতে সমস্যা না হয় সেদিকে নজর দেবে তারা। তবে প্রথমে দেশের মানুষের চাহিদা মেটানোর পরেই রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটি। শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর টিকার কাঁচামাল পাঠানোর বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিকেনের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনা করেছেন। ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাও চেষ্টা চালাচ্ছেন। টিওআই, সিএনএন, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।