Inqilab Logo

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলেও মৃত্যু সংবাদ ছিল না

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ৫:৪৯ পিএম

দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোন উন্নতি না ঘটলেও শণিবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় কোন মৃত্যু সংবাদ ছিল না। এ অঞ্চলের ৬ জেলায় সরকারী হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ১৬৭ জন হ্রাস পেয়ে ১ হাজার ২৭৫ জনে স্থির ছিল। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে গত ৩ মাসে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা দড়াল ৩৮ হাজার ২১ জনে। এসময়ে মারা গেছেন ১০ জন।

দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া আক্রান্ত এলাকার মধ্যে বরগুনা জেলার বিভিন্নস্থানে ঢাকার আইইডিসিআর-এর সমিক্ষা দল জরিপ চালিয়ে সেখানে খালের পানিতে মাত্রারিক্ত পরিমানে কলিফর্ম-এর সন্ধান পেয়েছেন বলে জানা গেছে। ঐ এলাকার ৯৪% মানুষ নলকুপের পানি পান করলেও ৭১% বিভিন্ন দৈনন্দিন কাজে সরাসরি খালের পানি ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। সমিক্ষায় মাত্র ২০% বাড়ীতে বা বাড়ীর কাছে ব্যবহারযোগ্য নলকুপ বিদ্যমান বলেও জানান হয়।
আইইডিসিআর থেকে ৪টি সুপারিশমালায় খাবার পানি সহ দৈনন্দিন ব্যবহার্য পানির জন্য খালের পরিবর্তে নিরাপদ পানি ব্যবহারের তাগিদ দিয়ে এর উৎস হিসেবে ডায়রিয়া আক্রান্ত ঝুকিপূর্ণ এলাকাসমুহে প্রয়োজনীয় সংখ্যক গভীর নলকুপ স্থাপন অত্যন্ত জরুরী বলেও মত প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ প্রয়োজনে খাল নদী বা পুকুরের পানি ব্যবহার জরুরী হলেও তা ফুিটয়ে বা পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট ব্যবহার নিশ্চিত করনেরও তাগিদ দেয়া হয়েছে। আক্রান্ত এলাকাসমুহে নিরাপদ পানি ব্যবহার সহ ডায়রিয়া প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
তবে বরগুনার বাইরে বরিশাল মহানগরী সহ অন্য জোগুলোতে ডায়রিয়ার ব্যপক বিস্তার সম্পর্কে জানা যায়নি।
দক্ষিণাঞ্চলে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ১,২৭৫ জনের মধ্যে ভোলাতেই সংখ্যা ৩২৮। এনিয়ে জেলাটিতে মোট ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৯ হাজার অতিক্রম করল। দ্বীপ জেলা ভোলা জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও অপর ৬টি উপজেলা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখনো ডায়রিয়া রোগীতে ঠাশা। বেশরিভাগ রোগীরই ঠাই মিলছে হাসপাতালের মেঝেতে।
গত ২৪ ঘন্টায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমন ছিল বরগুনাতে ২৮২ জন। এ জেলটিতে ইতোমধ্যে ৬ হাজার ১৬জন ডায়রিয়া রোগী সরকারী হাসপাতালসমুহে চিকিৎসা নিয়েছেন। মারা গেছেন দুজন। পটুয়াখালীতেও গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৯ জন ডায়রিয়া রোগী বিভিন্ন সরকারী হাপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেছেন। জেলাটিতে এ পর্যন্ত মোট ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ হাজার, মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
বরিশাল মহানগরীর পাশের ঝালকাঠী জেলার ৪টি উপজেলাতে গত ২৪ ঘন্টায় আরো ১৮০ জন ডায়রিয়া রোগী সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। জেলাটিতে সরকারী হিসেবে এপর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৪ হাজার ১২। বরিশাল মহানগরী সহ জেলায় গত ২৪ ঘন্টা সরকারী হাসপাতােল চিকিৎসা প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৬৩। জেলাটিতে ইতোমধ্যে ৫ হাজার ২১৬ জন আক্রান্তর মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের সবই বাকেরগঞ্জ উপজেলার। বরিশাল মহানগরী ও সন্নিহিত এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ এবার ডায়রিয়া আক্রান্ত। গত মাসাধীককালের মত শণিবারেও নগরীর জেনারেল হাসপাতালটির খোলা মাঠের তাবুর নিচে ডায়রিয়া আক্রান্ত নারী-পরুষ ও শিশুর চিকিৎসা চলছিল। ৪ শয্যার এ হাসপাতালের ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যঅ শণিবারেও ছিল ৪০ জনের ওপরে। পিরোজপুরেও গত ২৪ ঘন্টায় আরো ১৩৩ জন ডায়রিয়া রোগী সরকারী হাসপাতালসমুহে চিকিৎসা নিয়েছেন। এনিয়ে জেলাটিতে মোট নিবন্ধিত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দাড়াল ৪ হাজার ৫৬৬ জনে।
এদিকে বরিশাল সহ দক্ষিনাঞ্চলের সবগুলো জেলায় আইভি স্যলাইনের বড় মজুদ গড়ে তুলেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। শণিবার দুপর পর্যন্ত এ অঞ্চলের ৬টি জেলায় ১ হাজার সিসি ও ৫শ সিসি’র প্রায় ৮০ হাজার আইভি স্যলাইনের মজুদ রয়েছে বলে জানা গেছে।
বরিশাল বিভাগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার সাহা সকলকে নিরাপদ পানি পান করা সহ যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার তাগিদে দিয়ে যেকোন সমস্যায় স্থানীয় হ্রাসপাতাল সহ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহনের অনুরোধ করেছেন। ডায়রিয়া চিকিৎসায় বিভিন্ন জেলায় ৪০৬টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানিয়ে আইভি স্যালাইনের সাম্প্রতিক কালের বড় মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলেও মৃত্যু সংবাদ ছিল না

বরিশাল ব্যুরো/ দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোন উন্নতি না ঘটলেও শণিবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় কোন মৃত্যু সংবাদ ছিল না। এ অঞ্চলের ৬ জেলায় সরকারী হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ১৬৭ জন হ্রাস পেয়ে ১ হাজার ২৭৫ জনে স্থির ছিল। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে গত ৩ মাসে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা দড়াল ৩৮ হাজার ২১ জনে। এসময়ে মারা গেছেন ১০ জন।
দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া আক্রান্ত এলাকার মধ্যে বরগুনা জেলার বিভিন্নস্থানে ঢাকার আইইডিসিআর-এর সমিক্ষা দল জরিপ চালিয়ে সেখানে খালের পানিতে মাত্রারিক্ত পরিমানে কলিফর্ম-এর সন্ধান পেয়েছেন বলে জানা গেছে। ঐ এলাকার ৯৪% মানুষ নলকুপের পানি পান করলেও ৭১% বিভিন্ন দৈনন্দিন কাজে সরাসরি খালের পানি ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। সমিক্ষায় মাত্র ২০% বাড়ীতে বা বাড়ীর কাছে ব্যবহারযোগ্য নলকুপ বিদ্যমান বলেও জানান হয়।
আইইডিসিআর থেকে ৪টি সুপারিশমালায় খাবার পানি সহ দৈনন্দিন ব্যবহার্য পানির জন্য খালের পরিবর্তে নিরাপদ পানি ব্যবহারের তাগিদ দিয়ে এর উৎস হিসেবে ডায়রিয়া আক্রান্ত ঝুকিপূর্ণ এলাকাসমুহে প্রয়োজনীয় সংখ্যক গভীর নলকুপ স্থাপন অত্যন্ত জরুরী বলেও মত প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ প্রয়োজনে খাল নদী বা পুকুরের পানি ব্যবহার জরুরী হলেও তা ফুিটয়ে বা পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট ব্যবহার নিশ্চিত করনেরও তাগিদ দেয়া হয়েছে। আক্রান্ত এলাকাসমুহে নিরাপদ পানি ব্যবহার সহ ডায়রিয়া প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
তবে বরগুনার বাইরে বরিশাল মহানগরী সহ অন্য জোগুলোতে ডায়রিয়ার ব্যপক বিস্তার সম্পর্কে জানা যায়নি।
দক্ষিণাঞ্চলে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ১,২৭৫ জনের মধ্যে ভোলাতেই সংখ্যা ৩২৮। এনিয়ে জেলাটিতে মোট ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৯ হাজার অতিক্রম করল। দ্বীপ জেলা ভোলা জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও অপর ৬টি উপজেলা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখনো ডায়রিয়া রোগীতে ঠাশা। বেশরিভাগ রোগীরই ঠাই মিলছে হাসপাতালের মেঝেতে।
গত ২৪ ঘন্টায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমন ছিল বরগুনাতে ২৮২ জন। এ জেলটিতে ইতোমধ্যে ৬ হাজার ১৬জন ডায়রিয়া রোগী সরকারী হাসপাতালসমুহে চিকিৎসা নিয়েছেন। মারা গেছেন দুজন। পটুয়াখালীতেও গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৯ জন ডায়রিয়া রোগী বিভিন্ন সরকারী হাপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেছেন। জেলাটিতে এ পর্যন্ত মোট ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ হাজার, মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
বরিশাল মহানগরীর পাশের ঝালকাঠী জেলার ৪টি উপজেলাতে গত ২৪ ঘন্টায় আরো ১৮০ জন ডায়রিয়া রোগী সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। জেলাটিতে সরকারী হিসেবে এপর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৪ হাজার ১২। বরিশাল মহানগরী সহ জেলায় গত ২৪ ঘন্টা সরকারী হাসপাতােল চিকিৎসা প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৬৩। জেলাটিতে ইতোমধ্যে ৫ হাজার ২১৬ জন আক্রান্তর মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের সবই বাকেরগঞ্জ উপজেলার। বরিশাল মহানগরী ও সন্নিহিত এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ এবার ডায়রিয়া আক্রান্ত। গত মাসাধীককালের মত শণিবারেও নগরীর জেনারেল হাসপাতালটির খোলা মাঠের তাবুর নিচে ডায়রিয়া আক্রান্ত নারী-পরুষ ও শিশুর চিকিৎসা চলছিল। ৪ শয্যার এ হাসপাতালের ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যঅ শণিবারেও ছিল ৪০ জনের ওপরে। পিরোজপুরেও গত ২৪ ঘন্টায় আরো ১৩৩ জন ডায়রিয়া রোগী সরকারী হাসপাতালসমুহে চিকিৎসা নিয়েছেন। এনিয়ে জেলাটিতে মোট নিবন্ধিত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দাড়াল ৪ হাজার ৫৬৬ জনে।
এদিকে বরিশাল সহ দক্ষিনাঞ্চলের সবগুলো জেলায় আইভি স্যলাইনের বড় মজুদ গড়ে তুলেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। শণিবার দুপর পর্যন্ত এ অঞ্চলের ৬টি জেলায় ১ হাজার সিসি ও ৫শ সিসি’র প্রায় ৮০ হাজার আইভি স্যলাইনের মজুদ রয়েছে বলে জানা গেছে।
বরিশাল বিভাগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার সাহা সকলকে নিরাপদ পানি পান করা সহ যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার তাগিদে দিয়ে যেকোন সমস্যায় স্থানীয় হ্রাসপাতাল সহ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহনের অনুরোধ করেছেন। ডায়রিয়া চিকিৎসায় বিভিন্ন জেলায় ৪০৬টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানিয়ে আইভি স্যালাইনের সাম্প্রতিক কালের বড় মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডায়রিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ