পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় নিজ ফ্ল্যাটের বাথরুমের ফলস ছাদ থেকে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় আট বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া যুবককে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার রিপন মিয়াকে গতকাল দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতেই ঘটনাস্থল থেকে রিপনকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত শিশুর পরিবার যে ফ্ল্যাটে থাকে তার পাশের ফ্ল্যাটে সে স্ত্রীসহ বসবাস করে। রিপন পোশাক শ্রমিক হলেও বর্তমানে বেকার ছিল।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ঘরে একা পেয়ে শিশুটিকে হত্যা করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। নিহত শিশু সাজ্জাত হোসেন ভোলা জেলার সদর থানা এলাকার ইউসুফ হোসেনের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার বুড়িবাজার এলাকায় আব্দুল মান্নানের ৬ তলা ভবনের ৫ তলার একটি ফ্ল্যাটের বাথরুমের ফলস ছাদে কম্বলে মোড়ানো শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাশিদ জানান, স্বামী-স্ত্রী দুইজনই পোশাক কর্মী। প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে শিশুর মা খাদিজা বেগম আগে বাড়ি ফিরেন। শিশুকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে ঘরের বাথরুমের ফলস ছাদের ওপর কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় দেখতে পায়। এছাড়া ঘরে থাকা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারও লুট হয়েছে। এদিকে শিশু সাজ্জাত হোসেন হত্যার ঘটনায় পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া রিপন মিয়াকে রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার এসআই আল আমিন জানান, শিশু সাজ্জাতকে হত্যা, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনায় সন্দেহের বশে পাশের ফ্ল্যাটের প্রতিবেশী রিপন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই সে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। মূলত টাকা ও মালামাল চুরির উদ্দেশ্যেই প্রতিবেশীর ঘরে ঢুকে। কর্মজীবী বাবা-মা দুইজনই বাইরে থাকলেও শিশু সাজ্জাত তখন ঘরেই ছিল, ধরা পড়ার ভয়ে শিশুকে হত্যা করে লাশ বাথরুমের ফলস ছাদে লুকিয়ে রাখে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা ইউসুফ হোসেন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।