পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাঁশখালীর বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিক হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংস্থা ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’র পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন রিটটি ফাইল করেন। আগামী সপ্তায় বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে রিটটির শুনানি হতে পারে।
এ বিষয়ে সৈয়দা নাসরিন বলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে’র শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৫ জন নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। রিটে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ৩ কোটি টাকা ও আহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, শিল্প সচিব, বাণিজ্য সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করা হয়। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ৫ জন নিহতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ৩ কোটি টাকা ও আহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া নিহত ও আহত শ্রমিকের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয় নোটিশে।
গত ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শ্রমিক নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
বেতনভাতা নিয়ে অসন্তোষ থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত বেশ কয়েকজনকে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতরা হলেন, শুভ (২৩), মো. রাহাত (২৪), আহমদ রেজা (১৯), রনি হোসেন (২২) এবং রায়হান (২০)।
সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটনায় আবদুল কাদের, ইয়াসির আহমেদ, আসাদুজ্জান নামে ৩ পুলিশ কনস্টেবলও আহত হয়েছেন। আব্দুল কাদের জানান, বলে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় গ্রামবাসী ও শ্রমিকসহ ১০ হাজারের মতো মানুষ আমাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে তাদের ওপর গুলি চালিয়েছে।
ঘটনার দিন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রথমে এস.আলম বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পরে উস্কানি দিয়ে আশপাশের গ্রামবাসীকে এতে সম্পৃক্ত করা হয়। চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শীলব্রত বড়–য়া বলেন, ওইদিনের ঘটনায় চমেক হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ১৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছিল। আহতরা হলেন, শাকিল (১৯), আমিনুল ইসলাম (২৫), দিদার (২১), বিল্লাল (২৬), আযাদ (১৮), মিজান (১৮), কামরুল ইসলাম (২৬), শিমুল (২৮), শহিদুল ইসলাম (২৩) এবং হাবিবুল্লাহ (২০)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।