পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারায় ফের সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় পুলিশি অভিযানকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর সাথে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। জনতার প্রতিরোধ ঠেকাতে টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়েছে পুলিশ। পুলিশ দাবি করেছে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বসত ভিটা ও গোরস্থান রক্ষা কমিটির প্রধান বিএনপি নেতা লেয়াকত আলীর বাড়ি থেকে এলজি ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে না পেয়ে পুলিশ তার বয়োবৃদ্ধ পিতা হাজী দুদু মিয়াকে (৭০) ধরে নিয়ে গেছে।
ত্রিমুখী সংঘাতে চার গ্রামবাসী নিহতের দেড় মাস পর গন্ডামারায় দ্বিতীয় দিনের মত সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানের শুরুতেই বিদ্যুৎকেন্দ্র বিরোধীদের নেতা ‘গন্ডামারা বসত ভিটা ও গোরস্থান রক্ষা কমিটির’ আহ্বায়ক ও বিএনপি নেতা লিয়াকত আলীর পিতা হাজী দুদু মিয়াকে (৭০) আটক করে পুলিশ। এসময় লিয়াকতের বাড়ি থেকে দেশীয় তৈরি এলজি, চার রাউন্ড গুলি ও একটি হ্যান্ড মাইক উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) হাবীবুর রহমান। ওই পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে এ অভিযান চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, বিপুলসংখ্যক পুলিশ এলাকা ঘেরাও করে অভিযান শুরু করে। অভিযানের শুরুতে লেয়াকতের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। এ সময় লেয়াকত বাড়ি ছিল না। তার বৃদ্ধ পিতাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার খবরে গ্রামবাসী সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে, পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। পুলিশের গুলি ও টিয়ারসেলে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হয়েছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) হাবীবুর রহমান বলেন, লেয়াকতের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সেখানে তল্লাশি করে দুটি দেশীয় তৈরি এলজি, চার রাউন্ড গুলি ও একটি হ্যান্ড মাইক উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লিয়াকতের বাবাকে আটক করা হয়েছে। তবে সেখানে সংগঠিত হওয়া উত্তেজিত জনগণকে সরাতে সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ার কথা স্বীকার করলেও কেউই গুলিবিদ্ধ হয়নি বলে দাবি করেছেন হাবীবুর রহমান।
গত গত ৪ এপ্রিল বিকেলে গন্ডামারায় কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী সংঘাতে চার গ্রামবাসী নিহতের ঘটনায় তিনটি মামলায় লিয়াকতসহ প্রায় ৬ হাজার গ্রামবাসীকে আসামি করা হয়েছে। পরে এসব মামলা প্রত্যাহার করে কাউকে নতুন করে হয়রানি না করার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। কিন্তু এ ঘোষণার পরও পুলিশি অভিযানে এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় বড় সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, চার ভাগে ভাগ হয়ে পুরো এলাকাজুড়ে প্রায় চার শতাধিক পুলিশ সদস্য সেখানে সাঁড়াশি অভিযান চালায় বিকেল থেকে। এরআগে গতকাল ১৩টি গাড়িতে করে প্রায় ১৩০ জন পুলিশ সদস্য বড়ঘোনার বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকাসহ পুরো ইউনিয়নে টহল দেয়।
আন্দোলনকারীদের দাবি- সহিংসতার ঘটনার পর থেকে পুলিশ গন্ডামারায় যেতে সাহস করেনি। তাই এখন পরিকল্পিতভাবে অভিযানের নামে গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দোহাই দিয়ে গত সপ্তাহে নোটিশ দিয়ে গন্ডামারা ইউনিয়নের লাইসেন্স করা সব অস্ত্র জমা নিয়ে ফেলে বাঁশখালী থানা পুলিশ। এরপর এক সপ্তাহের বেশি সময় অভিযানের পরিকল্পনা করে আসছে প্রশাসন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।