প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী

মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
আজ থেকে দশ বছর আগে অভিনয়ে মেহজাবিন চৌধুরীর অভিষেক হয়। ২০১০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ইফতেখার আহমেদ’র ফাহমি’র পরিচালনায় মাহফুজ আহমেদ’র বিপরীতে মেহজাবিন অভিনীত প্রথম নাটক ‘তুমি থাকো সিন্ধু পাড়ে’ প্রচারিত হয়। এরপর থেকেই আজ পর্যন্ত অভিনয়ে তার নিজেকে তৈরী করার বিরামহীন ছুটে চলা। যেভাবেই পেরেছেন তিনি মগ্ন ছিলেন অভিনয়ে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলার। যার ফলশ্রুতিতে মেহজাবিন অভিনয়ে এক দশকের পথচলায় হয়ে উঠেছেন এই প্রজন্মের সেরা ভার্সেটাইল একজন অভিনেত্রী। প্রজন্মের মেধাবী নির্মাতারা যেমন তাকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী, ঠিক তেমনি অনেক সিনিয়র নির্মাতারাও তাকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। আবার খুউব ভালো গল্প আছে কোন নতুন নির্মাতার কাছে তারাও মেহজাবিনকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। কিন্তু তারপরও মেহজাবিন এখন অনেক ভেবে চিন্তে কাজ করেন। কারণ বিগত বেশ কয়েকটা বছরে অভিনয়ে নিজেকে ভেঙ্গে চুড়ে নিজের নতুন এক রূপ দাঁড় করিয়েছেন তিনি। এরইমধ্যে নতুন বছরে মেহজাবিন অভিনীত ভিকি জাহেদ’র ‘ভুলজন্ম’ ও ‘ মজনু’, রুবেল হাসানের ‘মহব্বত’, মহিদুল মহিমের ‘ শিল্পী’ নাটকগুলোতে তার অনবদ্য অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করেছে। করোনায় লকডাউনের কারণে আপাতত মেহজাবিন কাজ করা থেকে থেমে গেছেন। আগামী ঈদের জন্য এরইমধ্যে তিনি অপূর্ব’র বিপরীতে মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘ভাগ্যক্রমে’, নিশোর বিপরীতে মাহমুদুর রহমান হিমি’র ‘মারুন’, ‘দ্বিতীয় সূচনা’ এবং তাহসানের বিপরীতে ভিকি জাহেদ’র ‘ক্রেডিট শো নাটক’ এ তিনি অভিনয় করেছেন। এসব নাটকে কাজ করা প্রসঙ্গে এবং ঈদের আগের আর অভিনয় করবেন কী না প্রসঙ্গে মেহজাবিন চৌধুরী বলেন,‘ এখন পর্যন্ত যে চারটি নাটকে কাজ করেছি তারমধ্যে কোনটা বেশি ভালো সেটা আসলে বলা খুউব কঠিন। প্রচারের পর দর্শকই সিদ্ধান্ত নিক কোনটা ভালো হয়েছে। আর করোনার সার্বিক পরিস্থিতি এখন যেমন এই অবস্থায় কোন কাজ করছিনা। অবস্থা আগামীতে যদি কিছুটা ভালো হয়, তাহলে ভেবে দেখবো।’ গত ১৯ এপ্রিল ছিলো মেহজাবিন চৌধুরীর জন্মদিন। এবারের জন্মদিনটা তার কাছে অনেক বেশি আনন্দ আর উচ্ছাসের ছিলো। কারণ বাবা মা ভাই বোনের সঙ্গে সারাদিন একসঙ্গে সময় কাটাতে পেরেছেন এবং অনেক শুভেচ্ছা বার্তায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। অভিনয়ে মেহজাবিন চৌধুরী নিজেকে এমন একটি অবস্থানে নিয়ে গেছেন, তার মতো হবার জন্যই তার পরে যারা মিডিয়াতে এসেছেন তারা স্বপ্ন দেখেন কিংবা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কিন্তু কথা থেকে যায় এখানেই, মেহজাবিনের মতো অধ্যবসায়ী, লোকেশনে মনোযোগী, স্ক্রিপ্ট মুখস্ত থাকা এবং সময় মতো শুটিং-এ আসা-সর্বোপরি একজন সত্যিকারের অভিনেত্রী হতে গেলে যা খুব জরুরী সেসব করেই মেহজাবিন আজকের মেহজাবিন হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।