পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মধ্যপ্রাচ্যের ইরাকের রাজধানী বাগদদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এতে অধিকাংশ কর্মকর্তা অফিসে যেতে না পারায় দূতাবাসের প্রবাসী কর্মীদের সেবা কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। এতে প্রতিদিন প্রবাসী কর্মীরা দূতাবাসে গিয়ে প্রয়োজনীয় সেবা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে। মাত্র একজন কর্মকর্তা দূতাবাসে কাজ করছেন। আজ বুধবার ইরাকের বাগদাদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বাগদাদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাসা-বাড়ীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা হচ্ছেন, কাউন্সেলর রেজাউল কবীর, দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সারি মো. অহিদুজ্জামান লিটন (ছুটিতে ঢাকায় করোনায় আক্রান্ত), দ্বিতীয় সচিব আবু সালেহ মো. ইমরান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নূরুল্লাহ আহমেদ স্বস্ত্রীক উম্মে কাউসার তুলী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদ রাসা ও তার ছেলে সাইফুল গাজী, দূতাবাসের আইন সহায়তাকারী ইউসুফ বাদের ফালাহ (ইরাকী), সিকিউরিটি ইউসুফ আলী গাজী ও মালি রেজাউল করিম (ইরাকী)। করোনায় আক্রান্ত বাগদাদস্থ দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নূরুল্লাহ আহমেদ আজ ইরাক থেকে ইনকিলাবকে জানান, দূতাবাসের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা মহামারিতে আক্রান্ত হওয়ায় দূতাবাসের সেবা কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। মাত্র একজন কর্মকর্তা দূতাবাসে কাজ করছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে নূরুল্লাহ আহমেদ বলেন, করোনা মহামারিতে ইরাকে এযাবত বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি কর্মী মারা গেছেন। অতিসম্প্রতি আরবিলে প্রদেশে একজন প্রবাসী কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে নূরুল্লাহ বলেন, সম্প্রতি ইরাকের নাসিরিয়া পুলিশ অপহৃত প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী নূরুল ইসলামকে উদ্ধার করেছে। গত দু’মাস আগে মাফিয়া চক্র প্রবাসী ঝিনাইদহের নূরুল ইসলামকে ভালো বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দিয়ে অপহরণ করে নিয়ে জিম্মি করে রাখে। মাফিয়া চক্র নূরুল ইসলামের আত্মীয়-স্বজনকে মোবাইল ফোনে ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে নিয়ে যায়। বাগদাদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ নাসিরিয়া কারাগার থেকে উদ্ধারকৃত নূরুল ইসলামকে দূতাবাসে এনে বাংলাদেশে প্রেরণের উদ্যোগ নিয়েছে। শিগগিরই অসুস্থ্য নূরুল ইসলামকে দেশে পাঠানো সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ ব্যাপারে করোনায় আক্রান্ত দূতাবাসের কাউন্সেলর রেজাউল কবীরের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকৃত নূরুল ইসলামের স্ত্রী মিনারা বেগম তার স্বামীকে দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রাচীন ব্যাবিলনীয় সভ্যতার ধারক ইরাকে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে দুই লক্ষাধিক বাংলাদেশি কর্মরত। এসব প্রবাসী কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন। করোনা মহামারিতে দেশটির অর্থনীতিতে চলছে মন্দাভাব। অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশিরা পালিয়ে পালিয়ে কাজ করছে। দেশটিতে মাফিয়া চক্রের উপদ্রব অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ প্রবাসী কর্মীদের মাঝে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। এছাড়া দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে পুলিশী ধরপাকড় বেড়ে যাওয়ায় প্রবাসীদের মাঝে দিন দিন উৎকন্ঠা বাড়ছে। ইরাকের কুর্দিস্থান থেকে প্রবাসী নেতা আশরাফ সোলাইমানি জানান, দেশটির কেরকুক শহরে মাসকার সালাম মাতার কারাগারে প্রায় ২৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশি দীর্ঘ দিন যাবত মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তাদের আইনী সহায়তা দিয়ে উদ্ধারের জন্য দূতাবাসের কর্মকর্তা নূরুল্লাহ আহমদকে অবহিত করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।