বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঁদা না পেয়ে জেলেদের মাছ লুট ও স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাবেক এক ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে।
জানা যায়, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জেলেরা তিস্তা ব্যারাজ এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের তিস্তা নদীতে মাছ ধরছিল এ সময় চাঁদা না পেয়ে জেলেদের মাছ ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে ওই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে একই দিন রাতে ভুক্তভোগী জেলে রহমত আলী বাদী হয়ে জিয়াকে প্রধান আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযুক্ত জিয়াউর রহমান (৩৩) উপজেলার দোয়ানী পিত্তিফাটা এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের দোয়ানী ইউনিটের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি। তবে তিনি ছাত্রলীগের কেউ নন বলে দাবি করেছেন হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি।
এ ঘটনায় মাছ নিতে বাধা দেয়ায় মতিয়ার রহমান (৪৮) নামে এক ইউপি সদস্যকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ রয়েছে। আহত ওই ইউপি সদস্য বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্র থেকে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় অসহায় ২২ জন জেলে নিয়ে গঠিত দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। এই সমিতির সভাপতি জেলে রহমত আলী। তার নেতৃত্বে ব্যারাজের পেছনের তিস্তা নদী থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন সমিতির সবাই। প্রায় দুই বছর আগে থেকে চাঁদার জন্য জেলেদের নদী থেকে মাছ ধরতে বাধা দিয়ে আসছিল অভিযুক্ত জিয়াউর রহমান। তবে এরই মাঝেই কয়েকবার চাঁদার টাকা না পেয়ে ঝামেলা করে ২ থেকে ৩ কেজি করে বৈরালী মাছ নিয়ে চলে যায়। মাছের দাম না দিয়ে আবার জেলেদের কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন তিনি।
পরে গত সোমবার জেলেরা তিস্তা ব্যারাজ এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের তিস্তা নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরছিল। এ সময় জিয়াউর রহমানসহ বেশ কয়েকজন সেখানে গিয়ে মাছ ধরতে বাধা দেন। এ সময় ১০ হাজার টাকা না দিলে মাছ ধরতে পারবে না তারা। এদিকে রহমত আলীসহ অন্যরা চাঁদা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এতে জিয়াউর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে জেলেদের ধরা ৮০০ টাকা মূল্যের বৈরালী মাছ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় রহমত বাধা দিলে জিয়াউর তাকে মারধর করেন। এর পরে গড্ডিমারী ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান ছুটে এসে রহমতকে রক্ষা করে জিয়াউর রহমানকে চলে যেতে বলেন। তবে জিয়া চলে না গিয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি সদস্যের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে উপজেলার দোয়ানী ইউনিট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান জানান, ওরা নিজেরাই চলতে পারে না। কোন রকম মাছ ধরে দিন পার করে। ওরা ১০ হাজার টাকা কই পাবে? আমি তাদের কাছে কোন চাঁদা দাবি করিনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার জিহান জানান, জিয়াউর রহমান বর্তমানে ছাত্রলীগের কেউ না। দোয়ানী শাখা ছাত্রলীগের কমিটির সাবেক সভাপতি। এখন ছাত্রলীগের কোন পদে বা কমিটিতেই নেই। সে মনে হয় যুবলীগের রাজনীতি করে।
এই ঘটনার বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।