বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুরের সালথায় গত ৫ এপ্রিল রাতে সহিংস তান্ডবের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। গত সোমবার রাত ৮টায় ডিবি পুলিশের একটি দল ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। ওয়াহিদ উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাই মোল্লার ছেলে। জানা যায়, ওয়াহিদুজ্জামান ২০১৪ সালে বিএনপির সমর্থন নিয়ে সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট তিনি ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ওই যোগদান অনুষ্ঠানে ওয়াহিদুজ্জামানের বাহিনীর হাতে প্রহৃত ও লাঞ্ছিত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, সালথায় সরকারি অফিসে তান্ডবের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সাত আসামির আদালতে দেয়া স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই জবানবন্দিতে ওয়াহিদুজ্জামানের নাম উঠে আসায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওয়াহিদুজ্জামানের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে গতকাল বিকেলে তাকে জেলার মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সালথা থানায় পুলিশসহ মোট সাতটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে মোট ৩৬৪ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে আরও চার হাজার জনকে। এ মামলায় মোট ৯৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৫ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। দুইজন আসামি গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ প্রহড়ায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপর দুইজন আসামি গুলিতে নিহত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, লকডাউনকে কেন্দ্র করে ও পরে নানাবিধ গুজব ছড়িয়ে গত ৫ এপ্রিল রাতে সালথা উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন সরকারি অফিসে তান্ডব চালায় কয়েক হাজার উত্তেজিত জনতা। এ সময় দুটি সরকারি গাড়িসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা। এতে প্রায় আড়াই কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।