মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে। প্রায় সব রাজনৈতিক দলই এখন প্রচারে রাশ টেনেছে। ব্যতিক্রম এখনো বিজেপি।
সারা ভারতের মতো পশ্চিমবঙ্গেও করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে। প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে।
আনন্দবাজারের রিপোর্ট বলছে, গত ১৮ দিনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৫৬০ গুণ। এই অবস্থাতেও ভোট হচ্ছে। হচ্ছে রোড শো, জনসভা। লোকে ভিড় করে, করোনার তোয়াক্কা না করে, অনেক সময়ই মাস্ক ছাড়াই সেখানে জড়ো হচ্ছেন। সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই।
এই অবস্থায় বামেরা আগেই ঘোষণা করেছিল, তারা আর কোনো বড় জনসভা করবে না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে জোর দেবে। কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, করোনা বাড়ছে দেখে তিনি আর পশ্চিমবঙ্গে জনসভা করবেন না। রোববার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কলকাতায় কোনো বড় জনসভা করবেন না। রোড শো-ও নয়। জেলায় ছোট সভা করবেন। সেখানে মিনিট পনেরো ভাষণ দেবেন।
তবে বিজেপি এরকম কোনো ঘোষণা করেনি। সোমবার ষষ্ঠ দফার ভোটের প্রচার শেষ হয়েছে। সোমবারই পশ্চিমবঙ্গে চারটি জনসভা করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা জনসভা ছাড়াও রোড শো করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও জনসভা করবেন। কংগ্রেসেরও জনসভা হবে।
ঘটনা হলো, সারা দেশে করোনা পরিস্থিতি অভূতপূর্ব জায়গায় চলে গেছে। দিল্লিতে ছয়দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রেও কার্যত লকডাউন চালু আছে। তাহলে মানুষের স্বাস্থ্যের সঙ্গে সমঝোতা করে কেন এভাবে প্রচার করা হচ্ছে? কেনই বা নির্বাচন কমিশন তা হতে দিচ্ছে? প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''নির্বাচন কমিশন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল। সেখানে বিজেপি-র যুক্তি ছিল, প্রথম পাঁচ পর্বে যেভাবে প্রচার হয়েছে, বাকি পর্বেও তা হওয়া উচিত। তৃণমূল ও অন্যরা বাকি তিনটি পর্বের ভোট একসঙ্গে একদিনে করার দাবি করেছিল। সেই দাবি মানা হয়নি। কিন্তু কেউই সেখানে এভাবে প্রচার থামিয়ে পুরোপুরি ডিজিটালি প্রচার করার কথা বলেনি। বরং সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত প্রচার করা এবং তিনদিন আগে প্রচার বন্ধের প্রস্তাব সকলে সমর্থন করেছে। এখন পরে তারা কী করল তাতে কিছু যায় আসে না।''
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।