বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহীতে ডোবায় পড়ে থাকা ড্রামের ভিতর থেকে উদ্ধার তরুণীর লাশের পরিচয় মেলেছে। গ্রেপ্তারের পর খুনি নিজে লাশের পরিচয় জানায়। ভোরে পিবিআই সদস্যরা ওই তরুণীর খুনি পুলিশ কনস্টেবল নিমাই চন্দ্র সরকারকে (৪৩) গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যে দিনভর অভিযান চালিয়ে মাইক্রোবাস চালকসহ তিন সহযোগিকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এ সময় জব্দ করা হয় যে গাড়িতে লাশ নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয়া হয় সেই মাইক্রোবাসটি।
নিহত ওই তরুণীর নাম ননিকা রাণী রায় (২৪)। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁ সদরের মিলনপুর। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং ইন্সটিটিউট থেকে সদ্য অধ্যয়ন সমাপ্ত করেছেন। বর্তমানে তিনি একটি ক্লিরিকে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নগরের পাঠানপাড়া এলাকার একটি মেসে থাকতেন ননিকা। রাতে তার লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পিবিআই জানায়, নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার একটি বাড়িতে ওই তরুনীকে হত্যা করা হয়। ওই বাড়িটি জিআরপির কনস্টেবল নিমাই চন্দ্র গত ৬ এপ্রিল ভাড়া নেয়। তার স্ত্রী ও পুলিশ কনস্টেবল। রোববার বিকেলে পিবিআই সদস্যরা ওই বাড়িতে তদন্তে যায়।
গ্রেপ্তার পুলিশ কনস্টেবল নিমাই চন্দ্র সরকারের বাড়ি পাবনার আতইকুলা উপজেলার চরাডাঙ্গা গ্রামে। সে রেল পুলিশের (জিআরপি) রাজশাহী থানায় কর্মরত। রাজশাহী পিবিআইয়ের একটি টিম ভোর রাতে নাটোরের লালপুরে বোনের বাড়ি থেকে নিমাইকে গ্রেপ্তার করে। পরে সে নিহত তরুণীর পরিচয় জানায়।
গ্রেপ্তার নিমাইয়ের সহযোগিরা হলো, নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার আদারীপাড়ার কবির আহম্মেদ (৩০), রাজপাড়া থানার শ্রীরামপুর এলাকার সুমন আলী (৩৪) এবং মাইক্রোবাস চালক নগরীর বিলশিমলা এলাকার আব্দুর রহমান (২৫)। গ্রেপ্তার পুলিশ কনস্টেবল নিমাই চন্দ্রের দেয়া তথ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পিবিআই জানায়, কনস্টেবল নিমাই হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে ৬/৭ বছর ধরে ননিকা রাণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। সম্প্রতি সে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ কারণে তাকে হত্যার পর ড্রামে লাশ ভরে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, নিমাই চন্দ্র গত সাত বছর ধরে রাজশাহী জিআরপি থানায় কর্মরত। এর আগে তিনি মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় চাকরি করার সময় কাজিরহাটা অফিসের পাশের বাড়ির এক কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নগ্ন ভিডিও তৈরি করে। ভিডিওটি কম্পিউটারের দোকান থেকে মানুষের হাতে হাতে চলে যায়। তখন তাকে বরখাস্ত হয়। পরবর্তীতে নানা কৌশলে চাকুরী ফিরে পেয়ে রেল পুলিশে যোগ দেয়।
শুক্রবার নগরীর অদূরে বাইপাস সড়কের সিটি হাটের কাছে একটি ডোবায় ড্রামের মধ্যে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে শাহমখদুম থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। লাশ উদ্ধারের সময় ডিবি, সিআইডি ও পিবিআই সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।