পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মৈশাতুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তিতে বহুতল বিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া ওই ইউপি চেয়ারম্যান নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ইতিমধ্যে ৮০টি প্লট বিক্রি করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগা উপজেলা সদরের মনোহরগঞ্জ বাজারের পূর্ব পাশে অবস্থিত ’রাজের গড়’ হিসেবে পরিচিত নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটলেও রহস্যজনক কারনে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার সদরের হাটিরপাড় গ্রামের ওমর আলী নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মনোহরগঞ্জ বাজারের পূর্ব পাশে অবস্থিত ’রাজের গড়’ হিসেবে পরিচিত ৩৯ শতকের একটি ডোবা (হাটিরপাড় মৌজা, দাগ নং-৭৭০) সরকার থেকে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। গত প্রায় ৪ বছর আগে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল তাঁর ভাই দ্বীন মোহাম্মদসহ ৪ জনের নামে ওই ডোবা ওমর আলীর নাম বাদ দিয়ে তাদের নামে পূনরায় লিজ নেন। এরপর ওই আওয়ামী লীগ নেতা লিজের শর্ত ভঙ্গ করে ডোবার পার্শ্ববর্তী ডাকাতিয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ডোবাটি ভরাট করে ৮০টি প্লট করে তা বিভিন্ন ব্যক্তি কাছে বিক্রি করেন। ওই সময় প্রতিটি প্লটের মূল্য নেওয়া হয় ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এরপর ওই আওয়ামী লীগের নেতা ৪ জনের নাম বাদ দিয়ে ফের ৮০ জনের নামে ওই সম্পত্তি পূনরায় লিজ করান। তবে বর্তমানে ওই সম্পত্তিতে ৫ তলা বিশিষ্ট একটি মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি। ইতিমধ্যে ওই মার্কেটের দ্বিতীয় তলার কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
তবে প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ধরণের ঘটনা ঘটলেও রহস্যজনক কারণে এখনও ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা প্রশাসন কিংবা ভূমি অফিস। যদিও উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অবস্থান বাজারের পশ্চিম মাথায়।
নাম প্রকাশ না শর্তে স্থানীয় অন্তত ১০ জন ব্যক্তি দৈনিক ইনকিলাবকে জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল শুধু রাজের গড় নয়। মৈশাতুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্য সরকারি সম্পত্তি দখল করেছেন। এসব সম্পত্তি অবৈধভাবে বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তবে আজ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, কোথাও সরকারি সম্পত্তি খালি পেলেই চেয়ারম্যান মোস্তফা ওই সম্পত্তি দখলের জন্য উঠে পড়ে লাগেন। প্রয়োজন সকল দপ্তরের মুখ বন্ধ করে হলেও তিনি ওই সম্পত্তি দখল করে নেন। তিনি এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না।
নাম প্রকাশ না শর্তে স্থানীয় ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, কোন সরকারি সম্পত্তি দখল করে কোন ব্যক্তি যদি বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করে তা হবে সম্পূর্ণ বেআইনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.এস.এম জাহিদুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গত প্রায় তিন বছর আগে ওই সম্পত্তি জেলা প্রশাসক মহোদয় লিজ দিয়েছেন বলে আমি জেনেছি। লিজ নেওয়া সম্পত্তি ও সরকারি সম্পত্তিতে বহুতল মার্কেট নির্মাণ করার নিয়ম আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই লিজের শর্তের কাগজ হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি জানা যাবে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো.হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, লিজকৃত সম্পত্তিতে মার্কেট করা সম্পূর্ণ অবৈধ। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তবে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মৈশাতুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, সরকার সম্পত্তি লিজ দিয়েছে। লোকজন বিল্ডিং করছে, এখানে আমার কি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।