মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। সে সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। এতে করে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে উদ্বেগজনক। আর তাই আপনার কিংবা পরিবারের যে কারো মধ্যে ৫টি লক্ষণ যদি দেখতে পান তাহলে দেরি না করে দ্রæত হাসপাতালের শরনাপন্ন হতে হবে।
এদিকে প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়লেও অনেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। করোনা উপসর্গ দেখা দিলে বাড়িতে বসেই অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য ছুটোছুটি করছেন।
অনেক ক্ষেত্রে একেক কোভিড রোগীর ক্ষেত্রে একেক লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। তবে সচারাচর স্বাভাবিক কিছু লক্ষণ দেখে করোনা শনাক্ত করতে হবে। করোনার লক্ষণ সঠিক সময়ে শনাক্ত না করা গেলে বয়স্কদের পাশাপাশি সব বয়সের মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
প্রাথমিক পর্যায়ে করোনার উপসর্গ সামান্য থাকে। কিন্তু গুরুত্ব না দিলে সেই উপসর্গ মারাত্মক হতে পারে। এ জন্য সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। পরীক্ষায় রিপোর্ট পজেটিভ হলে প্রথম সপ্তাহ অনেক জরুরি। কারণ এ সময়ই বোঝা যাবে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে নাকি হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। কোন পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ নিতে হবে তা সবারই জানা প্রয়োজন।
শ্বাস নিতে সমস্যা : শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যথা করোনার মারাত্মক সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। করোনাভাইরাস একটি শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণ যা সুস্থ কোষগুলোকে আক্রমণ করে। যদি আপনার শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, হাঁটতে সমস্যা হয় তবে সাথে সাথে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। এ ক্ষেত্রে কোনোভাবেই দেরি করা যাবে না।
অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা : করোনার লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই একটি ভালো মানের পালস অক্সিমিটার ঘরে রাখুন। লক্ষণ থাকলে কোভিড নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে যা থেকে ফুসফুসে সংক্রমণ হয়। প্রায়ই যদি অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা করে তবে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে আলাপ করুন এবং সে ক্ষেত্রে আপনার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।
বিভ্রান্তির সম্মুখীন : বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা মস্তিষ্ক ও নার্ভের ওপরেও প্রভাব ফেলে। স্বাভাবিক ঘুম না হওয়া, বিভ্রান্তিতে পড়া, ভুলভাল বকা করোনার তীব্রতর লক্ষণ। রোগী যদি তার স্বাভাবিক কাজ করতে সমস্যায় পড়ে তাহলে বুঝতে হবে পরিস্থিতি গুরুতর। দ্রুতই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
বুকে ব্যথা : যেকোনো ধরনের বুকে ব্যথাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। করোনা ফুসফুসের মিউকোসাল লাইনিংগুলোকে আক্রমণ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে এটি বুক ব্যথার অন্যমত কারণ হিসাবে দেখা দেয়। আপনার বুকে ব্যথা যদি অসহনীয় হয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
নীলচে ঠোঁট : অক্সিজেনের স্যাচুরেশন কমে গেলে মুখ আর ঠোঁটের পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। এটি করোনার একটি ভয়াবহ লক্ষণ। এমন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ দিতে হবে।
করোনার সাধারণ কিছু লক্ষণ : করোনার সাধারণ কিছু লক্ষণ যা প্রকাশ পায় তা হলো জ্বর, গলা ব্যথা, খুশখুশে কাশি, শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা ও ডায়রিয়াসহ ইত্যাদি। সব লক্ষণ মনিটর করে একজন করোনা রোগীকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন নাকি বাড়িতেই চিকিৎসা সম্ভব। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।