বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরগুনার তালতলী উপজেলার দক্ষিণ গাববাড়িয়া গ্রামে বুধবার গভীর রাতে ঘুমন্ত স্ত্রী দুই সন্তানের জননী সুমাইয়া (৩২) কে স্বামী আবদুল করিম খন্দকার ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সুমাইয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। গুরুতর আহত সুমাইয়াকে স্বজনরা উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয়রা আটক করে করিমকে পুলিশে সোপর্দ করে। করিমের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা অভিযোগে মামলার পর তালতলী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।
জানাগেছে, উপজেলার কড়াইবাড়িয়া গ্রামের সিদ্দিক হাওলাদারের কন্যা সুমাইয়া বেগমের সাথে পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ গাববাড়িয়া গ্রামের মজিদ খন্দকারের ছেলে আব্দুল করিম খন্দকারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ভালোই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। গত তিন বছর পূর্বে হঠাৎ করে স্বামী করিম মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। ওই সময় থেকে সুমাইয়ার জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়। স্বামীর এমন অবস্থায় দুই সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়ে সুমাইয়া। স্বজনদের সহযোগীতায় ওই দুই সন্তানকে বরগুনা এতিম খানায় লেখাপড়া করতে দেয় সুমাইয়া। তারা ওই এতিম খানায় লেখাপড়া করছে।
স্থানীয়রা জানান, করিম খন্দকার গত তিন বছর পূর্বে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন সময়ে স্ত্রীকে কারনে অকারনে মারধর করে আসছে। বুধবার রাতে স্বামী-স্ত্রী ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। গভীর রাতে স্বামী করিম খন্দকার কিছু না বলেই ঘুমন্ত স্ত্রী সুমাইয়াকে ধারালো দা দিয়ে কোপাতে থাকে। তার ধারালো দায়ের আঘাতে সুমাইয়ার শরীরের ২৫-৩০ টি স্থানে গুরুতর জখম হয়। সুমাইয়ার শরীরের এমন কোন জায়গা বাদ নেই যেখানে দায়ের কোপ বাকী আছে। খবর পেয়ে ক্ষত বিক্ষত সুমাইয়াকে স্বজনরা উদ্ধার করে ওই রাতেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।। সুমাইয়ার অবস্থা এতই খারাপ যে ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।
এ ঘটনায় সুমাইয়ার বড় ভাই মো. হানিফ বাদী হয়ে আব্দুল করিম খন্দকারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে করিম খন্দকারকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার সকালে করিমকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে পুলিশ আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মো. সাকিব হোসেন তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
স্বামী আব্দুল করিম খন্দকারের কাছে স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে অসংলগ্ন কথা বলেন।
আহত সুমাইয়ার বড় ভাই হানিফ হাওলাদার বলেন, বোনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছি। তিনি আরো বলেন, করিম খন্দকার প্রায়ই আমার বোনকে কারনে-অকারনে মারধর করে।
তালতলী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ধারনা করা হচ্ছে করিম খন্দকার মানসিক রোগী। তিনি আরো বলেন, কবির খন্দকারের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।