গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ভিন্ন রকম এক লকডাউন দেখছে রাজধানীবাসী। অফিস খোলা কিন্তু গণপরিবহণ বন্ধ। অন্যদিকে ব্যক্তিগত গাড়ীর চাপে কোথাও কোথায় দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আট দিনের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন সকালে রাজধানীর সড়কে বেড়েছে প্রাইভেট কারের উপস্থিতি। পুলিশের চেক পোস্টের কারণে কোথাও কোথাও যানজট লাগতেও দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কোনো বাসের দেখা মেলেনি। প্রাইভেটকার আর গুটি কয়েক সিএনজি চালিত অটোরিকশা ছাড়া অন্যকোনো বাহন না থাকায় গার্মেন্ট ও নির্মাণ কাজে জড়িত শ্রমজীবীদের দেখা গেছে পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে।
বিধিনিষেধের প্রথম দিন নববর্ষের কারণে সরকারি ছুটি থাকায় বুধবার ফাঁকা সড়কগুলো বৃহস্পতিবার কিছুটা ভিন্ন রূপ পেয়েছে। প্রাইভেট কার আর সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে চলাচল করছেন জরুরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা।
পুলিশি চেকপোস্টের কারণে রাজধানীর মধ্যবাড্ডা, গুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা থেকে হাতিরঝিল পর্যন্ত এবং রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে যানজট পরিস্থিতি তৈরি হয়। মগবাজার, মৌচাক ও মালিবাগ, সায়েন্স ল্যাব, ধানমন্ডি, শ্যামলি মোড়েও ছিল একই চিত্র।
জরুরি কাজে অফিসমুখী যাত্রীদের ছেড়ে দেয়া হলেও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যারা বের হয়েছেন, তাদের পড়তে হচ্ছে পুলিশের জেরার মুখে। যারা জরুরি সেবা দিতে অফিসে যাচ্ছেন তাদের বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই পুলিশের। অন্যদের ক্ষেত্রে মুভমেন্ট পাসকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা।
বৃহস্পতিবার অবশ্য সড়কে নামা রিকশা নিয়ে কোনো আপত্তি করেনি পুলিশ। টহলে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল বলেন, ‘রিকশায় অনেকে জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছে। ব্যাংক ও কিছু অফিস খোলা থাকায় অনেকে অফিসে যাচ্ছেন। তাই আমরা এই সময়টাতে রিকশা চলাচলে কিছুটা ছাড় দিচ্ছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।