নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। বিশ্বব্যাপী রোজা পালন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। খেলোয়াড়েরাও ব্যতিক্রম নন। মুসলিম খেলোয়াড়দের অনেকেই রোজা রেখে মাঠে নেমে থাকেন। এমন দৃশ্যই দেখা গেল মঙ্গলবার তুরস্কের দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলে। মাঠে খেলা চলছিল। মাগরিবের আজান পড়তেই খেলা থামিয়ে ইফতার সেরে নেন আঙ্কারা কেচিওরেনগুজুর খেলোয়াড়েরা।
বিইন স্পোর্টস ইফতারের সেই দৃশ্যের ভিডিও ক্লিপ টুইট করার পর তা সাড়া ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। জিরেসুনস্পোরের কাছে ম্যাচটা ২-১ গোলে হারে আঙ্কারা কেচিওরেনগুজুর। ভিডিওতে দেখা যায়, মাঠের এক কোণে হাঁটু গেড়ে বসে কলা ও খেজুর খেয়ে ইফতার সেরে নিচ্ছিলেন কেচিওরেনগুজুরের চার খেলোয়াড়। ক্লাবটির গোলরক্ষক মেতিন উচারকে এ সময় পানি পান করে ইফতার সেরে নিতে দেখা যায়।
টুইটের ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘জিরেসুনস্পোর-কেচিওরেনগুজুর ম্যাচে এক খেলোয়াড় চোট পেয়েছিলেন আজানের সময়। খেলোয়াড়েরা রোজা ভেঙে নিচ্ছেন।’
টুইটারে ভিডিওটি আজ দুপুর পর্যন্ত দেখার সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। ম্যাচগুলো সাধারণত সন্ধ্যায় শুরু হয়। ম্যাচের মধ্যে ইফতারের সময় হয়ে যায়। মাঠে থেকে ইফতার সেরে নিতে অনেক খেলোয়াড়ই অতীতে নানা বুদ্ধিদীপ্ত পথ বের করেছেন।
২০১৮ সালে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে এক প্রীতি ম্যাচে তিউনিসিয়ার গোলরক্ষক মুয়াজ হাসান ইফতারের সময় ম্যাচের মধ্যে দুবার মাঠে পড়েন যান। সবাই চোট মনে করেছিল। এ সুযোগে ইফতার সেরে নেন তাঁর সতীর্থরা।
সে সময় তিউনিসিয়ান সংবাদকর্মী সুহাইল খামিরা ইউরোপিয়ান এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, রোজা রেখে খেলতে কতটা শারীরিক ধকল পোহাতে হয় ফুটবলারদের, ‘বিশ্বকাপ আসতে আসতে রোজা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই প্রচুর ধকল যাবে খেলোয়াড়দের শরীরের ওপর। এটা শারীরিকভাবে ভীষণ ক্লান্তিকর। দৈনন্দিন কাজ করতেই অসুবিধা হয়, সেখানে কঠোর শারীরিক অনুশীলন খুব কঠিন। প্রায় সব খেলোয়াড়ই মুসলিম, এর মধ্যে অনেকেই ধর্মচর্চা করে থাকেন। তাঁরা রোজা রাখেন সম্ভবত এই বিশ্বাস থেকে যে, সৃষ্টিকর্তার প্রতি দায়িত্ব পালন করলে তার পুরস্কার হিসেবে মাঠে ভালো পারফরম্যান্স করা যাবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।