মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রতিদিনের সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রেখে শনিবার ভারতে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৪ জনের নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এর ফলে দেশটিতে সংক্রমণ সর্বকালের সর্বোচ্চ সংখ্যা ১ কোটি ৩২ লাখ ৫ হাজার ৯২৬-এ দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালে মহামারী শুরুর পর এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ভারতে চব্বিশ ঘন্টায় সংক্রমণ লাখ ছাড়িয়ে গেল। ৫ এপ্রিল প্রথম বারের মতো সংক্রমণ লাখ ছাড়িয়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৩ হাজার ৫৫৮। এরপর ৭ এপ্রিল ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৩৬, ৮ এবং ৯ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ছিল যথাক্রমে ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৮৯ এবং ১ লাখ ৩১ হাজার ৯৬৮ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় উত্থানের সাথে সাথে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে এবং ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৩১ জনে দাঁড়িয়েছে, যা মোট রোগীর ৭.৯৩ শতাংশ। দৈনিক নিহতদের সংখ্যাও বেড়েছে, কারণ গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে আরো ৭৯৪ জন।
শনিবার প্রথমবারের মতো সক্রিয় করোনভাইরাস রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। এর আগে ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ভারতে প্রথম মহামারীর পিক সময়ে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি ছিল।
সর্বাধিক সংখ্যক লোক সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়ায় এবং সংক্রমণ হ্রাস পাওয়ায় গত জানুয়ারিতে সংখ্যা তীব্র হ্রাস পেয়েছিল। ১২ ফেব্রুয়ারি করোনায় সক্রিয় রোগী ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ৯২৬ জন। মাত্র দুই মাসের মধ্যে চক্রটিতে ৯ লাখ সক্রিয় সংক্রমণ যুক্ত করা উদ্বেগজনক। কারণ এটি থেকে বোঝা যায় যে, সংক্রমণটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, আর সুস্থতার হারটি ধরে রাখতে সক্ষম হচ্ছে না। প্রতিদিনের সংক্রমণ এবং প্রতিদিনের সুস্থতার মধ্যে ব্যবধানও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৪ জন নতুন সংক্রমণের তুলনায় সুস্থ হয়েছে ৭৭ হাজার ৫৬৭ জন।
এদিকে মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগড়ে দৈনিক সংক্রমণে সর্বাধিক অবদান রাখছে। শুক্রবার ছত্তিশগড়ে নতুন সংক্রমিত হয়েছে সবচেয়ে বেশি ১১,৪৪৭ জন এবং মহারাষ্ট্রে ৫৮,৯৯৩ জনের মধ্যে নতুন সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১১ লাখেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যা শুক্রবারের তুলনায় কম।
দ্রæত গতিতে করোনা বাড়ার কারণে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের শয্যার সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। দিল্লির রাজীব গান্ধী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করোনা ছাড়া বাকি সব পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে বাংলায় করোনা পরিস্থিতি ফের খারাপ দিকে যাওয়ায় নবান্নও সাবধানতা অবলম্বনের পথে হাঁটছে। ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ সরকারি কর্মী নিয়ে কাজের নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।