Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাজার ও গণপরিবহন থেকে ৬১ শতাংশ করোনার সংক্রমণ: আইইডিসিআর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২১, ১:১৯ পিএম

দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেই সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৪৬২ জনের আর মৃত্যু হয়েছে ৬৩ জনের। শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণ বিশ্লেষণ করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এখন দুটি, বাজার এবং গণপরিবহন। দেশে এখন পর্যন্ত যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের বড় অংশই হয় বাজারে গেছেন, নয়তো গণপরিবহন ব্যবহার করেছেন।
৫ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট হাজার করোনা রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করে আইইডিসিআর জানিয়েছে, আক্রান্ত রোগীদের ৬১ শতাংশের বাজারে যাওয়া এবং গণপরিবহন ব্যবহারের ইতিহাস রয়েছে। এছাড়া সংক্রমিত হওয়া ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ জনসমাগমস্থল (সভাসেমিনার) এবং মসজিদ অথবা উপসনালয়ে গিয়েছিলেন।
ওই সাড়ে আট হাজার রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে গিয়েছিলেন ২৬ শতাংশ, করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন ২২ শতাংশ। এ ছাড়া আন্তবিভাগ ভ্রমণ করেছিলেন ১৩ শতাংশ, সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ১২ শতাংশ।
আইইডিসিআর জানিয়েছে, সংক্রমণ রোধে মাস্কপরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। সাথে নিতে হবে টিকা। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হবে। বাজার খোলা জায়গায় নিয়ে আসার নির্দেশনা আছে, এটিও নিশ্চিত করতে হবে। কোথাও বদ্ধ জায়গায় বাজার হলে সেখানে যাতে জনসমাগম বেড়ে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

সম্প্রতি দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। এটাকে বলা হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে সাত দিনের লকডাউন বা বিধি-নিষেধ জারি করে সরকার। এই বিধি-নিষেধের মেয়াদ শেষ হবে ১১ এপ্রিল রাত ১২টায়। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের জন্য 'কঠোর লকডাউনে' যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি মানায় মানুষের উদাসীনতা ও করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে বন্ধ থাকবে গণপরিবহন, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও সকল কারখানা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ