মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভা শুরুর পর থেকে এর চরিত্র নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিরামহীন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কোভিড-১৯ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এনেছে ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স। এতে দেখা যাচ্ছে, কোভিড আক্রান্তের একটা বড় অংশের মধ্যে কোনোরকম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যা দেখে প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ধারণ করা যায়। লক্ষণহীন ভাইরাসটি অজান্তেই রোগীদের মাধ্যমে নিঃশব্দে তার থাবা বিস্তার করে চলেছে সমাজে। ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স-এর সমীক্ষায় উঠে এসেছে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চের মধ্যে যে ৫৩ শতাংশ মানুষের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে, তাদের বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে তারা করোনায় আক্রান্ত। এমনকি তাদের দেহে ভাইরাসের পরিমাণ বেশি থাকলেও তার লক্ষণ বাইরে প্রকাশ পায়নি। বাকি ৪৭ শতাংশের দেহে অবশ্য প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ধারণ করা গিয়েছিল।
কোভিড-১৯ রোগীদের বেশির ভাগের মধ্যেই ক্লান্তি, মাথাধরা, কাশির মতো লক্ষণ দেখা গেছে। ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্সের পরিসংখ্যানবিদ সারা ক্রফটস বলছেন, তাদের পরীক্ষায় উঠে এসেছে কোভিড-১৯ সংক্রমিত ব্যক্তিদের শারীরিক লক্ষণ। কোভিডের সাধারণ লক্ষণ হলো ক্লান্তি, মাথাধরা ও কাশি। প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজনের স্বাদ অথবা গন্ধ চলে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়।
সারা ক্রফটস উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রায় অর্ধেক মানুষের দেহে ভাইরাসের প্রকোপ বেশি থাকলেও তাদের শরীরে কোনোরকম লক্ষণই প্রকাশ পায়নি। এর অর্থ এসব মানুষ শরীরে ভাইরাস নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং অজান্তে তাদের দেহ থেকে ভাইরাস অন্য মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে। এ কারনে জনসংখ্যায় সংক্রমণের মাত্রা পরিমাপ করা এবং লক্ষণগুলোর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা অত্যাবশ্যক বলে মনে করছে ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স-এর মতো সংস্থা।
গত মাসে ৩৬ শতাংশ মানুষের মধ্যে কোভিডের সাধারণ লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। ২৮ শতাংশের মধ্যে কাশির সমস্যা ছিল। ২০ শতাংশ জ্বরে কাবু ছিল এবং বাকি ১২ শতাংশের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল। ১৪ শতাংশের স্বাদ এবং গন্ধ চলে গিয়েছিল, ৬ শতাংশ ডায়েরিয়া এবং পেটের সমস্যায় ভুগছিল।
ল্যাবরেটরিতে যত তাড়াতাড়ি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে, তত তাড়াতাড়ি ভাইরাসের শক্তি এবং চরিত্র সম্পর্কে জানা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যত বেশি পরীক্ষা হবে তত বেশি মানবদেহে করোনার থাবা বসিয়েছে কিনা তা জানা যাবে।
ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বাদ দিয়ে বিভিন্ন পরিবারে গিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। যাতে দেখা গেছে কমিউনিটিতে প্রায় এক লাখ ৪৮ হাজার মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত। যা নিয়ে রীতিমতো গবেষকরা উদ্বিগ্ন। সূত্র : দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।