Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টিকা সঙ্কটে বন্ধ ৭১টি কেন্দ্র, মুম্বাইয়ে বিক্ষোভ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ডোজ সংকটের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভারতের ৭০টিরও বেশি টিকাদান কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে শহরটির অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা বিকেসি’র টিকাদান কেন্দ্রও। বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন টিকা না পাওয়া বহু মানুষ।

মুম্বাইয়ে টিকাদানের জন্য ১২০টি কেন্দ্র পরিচালনা করা হচ্ছিলো। তবে টিকা সংকটের কারণে এর ৭১টিই বন্ধ করে দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি)। এর ৪৯টি পরিচালনা করছে মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার ও বিএমসি। এর প্রতিটিতে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার ডোজ টিকা দেওয়া হযেছে।

বিকেসি এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া কেন্দ্রের ডিন রাজেশ ডেরে বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই আমরা পরবর্তী দিনের জন্য অগ্রিম টিকার ডোজ মজুদ রাখতে পারতাম। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমরা এই কেন্দ্রের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক ডোজ পেয়েছি। গত রাতে আমরা আশা করেছিলাম আজকের ডোজগুলো পেয়ে যাবো, কিন্তু তা পৌঁছায়নি। এখন আমাদের কাছে মাত্র ১৬০ ডোজ টিকা আছে।‘

শুক্রবার মুম্বাইয়ের মেয়র কিশোরি পান্ডেকর বলেন, ‘বেশ কয়েকটি টিকাদান কেন্দ্রে একটি ডোজও নেই। সেকারণে টিকাদান বন্ধ করা দেওয়া হয়েছেৃ জানতে পেরেছি আজ ৭৬ হাজার থেকে এক লাক ডোজ টিকা আজ মুম্বাইয়ে পৌঁছাবে, কিন্তু এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক তথ্য নেই।‘
টিকা সংকটে মারাত্মক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের অন্যতম করোনা কবলিত রাজ্য মহারাজ্য। টিকা সংকটের কারণে মুম্বাইয়ের মতো করে সাতারা, সাংলি ও পানভেলের বহু টিকাদান কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে অভিযোগ করেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর চেয়ে জনসংখ্যা বেশি হলেও কম পরিমাণ টিকা পাচ্ছে তারা। তিনি দাবি করেন তার রাজ্যের প্রতি সপ্তাহে ৪০ লাখ ডোজ আর মাসে এক কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োজন। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র এক কোডটি ডোজ। তবে মহারাষ্ট্রের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তার দাবি টিকা সরবরাহে রাজ্যগেুলোর সঙ্গে কোনও ধরনের বৈষম্য করা হচ্ছে না। সূত্র : এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ