মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে একটি শক্তিশালী বায়োটেক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রো। আশির দশকে রাজধানী হাভানায় ছয় গবেষক নিয়ে একটি পরীক্ষাগার স্থাপন করে সেই প্রতিশ্রুতি প‚রণে অনেকটা এগিয়েও নিয়ে যান। এরপর পার হয়ে গেছে ৪০ বছর। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীর মধ্যে ছোট এই দ্বীপরাষ্ট্রটি বায়োটেক খাতে বিশাল এক অর্জনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। সেখানে তৈরি হচ্ছে ভাইরাসটির প্রায় পাঁচটি টিকা। এ খবর দিয়েছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। খবরে বলা হয়, পাঁচটি টিকার মধ্যে দুটি টিকা ট্রায়ালের শেষ ধাপে আছে। আগামী মে মাসের মধ্যেই টিকাগুলোর প্রয়োগ শুরু হতে পারে। সফল হলে কিউবার স্বাস্থ্যখাতের শক্তিমত্তার এক অনন্য নিদর্শন হয়ে উঠবে টিকাগুলো। একইসঙ্গে দেশটির ধসে পড়া অর্থনৈতিক শক্তি পুনর্জ্জীবিত করতেও ভ‚মিকা রাখবে টিকাটি। ক্ষমতার শেষের দিকে এসে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের এই বিচ্ছিন্ন দেশটিকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক দেশগুলোর তালিকায় পুনরায় যুক্ত করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া, দেশটির উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে ট্রাম্প প্রশাসন। কিউবার কর্মকর্তারা জানান, তারা স্বস্তা ও সহজে মজুদ করা যায় এমন টিকা তৈরি করছেন। কয়েক সপ্তাহ কোনো কক্ষের স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই সংরক্ষণ করা যাবে টিকাগুলো। আর সর্বোচ্চ ৪৬.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় দীর্ঘদীন মজুদ রাখা যাবে। কিউবার এ চেষ্টা সফল হলে, অনুন্নত ও গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশগুলোর জন্য করোনা মোকাবিলা অনেকটাই সহজ হয়ে উঠবে। বর্তমানে ধনী রাষ্ট্রগুলোর চাহিদা মেটানোর খাতিরে সহজলভ্য টিকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেক দরিদ্র দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার শিকার হওয়া দেশগুলোর জন্য কিউবা হয়ে উঠতে পারে টিকা পাওয়ার মূল উৎস। ইতিমধ্যে দেশটির সঙ্গে চুক্তি করেছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ভোগা ইরান ও ভেনেজুয়েলা। বর্তমানে কিউবার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় টিকা হচ্ছে সোবারানা ২। প্রযুক্তি শেয়ার চুক্তির আওতায় ইরান সরকার ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ইরানির উপর এই টিকাটির তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল চালাতে সম্মত হয়েছে। ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টিকাটি সফল হলে ইরানেই তৈরি হতে পারে প্রায় ৪ কোটি ডোজ। প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে ইরানের সুপ্রিম নেতা এক ঘোষণায়, মার্কিন ও বৃটিশ টিকা আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা দেন। টিকাগুলোকে সম্প‚র্ণভাবে ‘বিশ্বাসের অযোগ্য’ বলে বর্ণনা করেন তিনি। ওয়াশিংটন পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।