লকডাউনের মেয়াদ বাড়ালে তা মেনে নেবেন না সিলেটের ব্যবসায়ীরা। আগামী রোববার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে দোকানপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। আজ বুধবার (৭ এপ্রিল) নগরীর বন্দরবাজারস্থ হাসান মার্কেটে এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন ব্যবসায়ী নেতারা। একই সাথে দেশের ব্যবসায়ীদের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে লকডাউন না বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন সিলেটের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

করোনা পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউন নিয়ে বুধবার সকাল ১১টায় হাসান মার্কেটে এক বৈঠকে বসেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা। মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তারা চলমান এক সপ্তাহের লকডাউনের মেয়াদ না বাড়ানোর দাবি জানান। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, গত বছর লকডাউনের কারণে দোকানপাট বন্ধ রাখতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। প্রায় এক বছরের বেশি সময় তারা বঞ্চিত ছিলেন ব্যবসায়। বর্তমানে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টাকালে আবারোও এক সপ্তাহের লকডাউনের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে মাথায় হাত উঠেছে ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ীরা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করতে চান তারা । প্রতিটি বিপণীবিতান ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়ীরা ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য নিজ উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করবেনও তারা। লকডাউনে অন্যান্য খাত চালু রেখে শুধুমাত্র ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা অমানবিক বলেও তাদের অভিমত। তাই বৃহস্পতিবার লকডাউন নিয়ে যে সভা হওয়ার কথা, সেই সভায় লকডাউনের সময় বৃদ্ধি না করার আহ্বান জানিয়েছেন সিলেটের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

ব্যবসায়ী নেতারা আরো বলেন, যদি লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়, তবে তা মানা সম্ভব হবে না কোনোভাবেই। রোববার সন্ধ্যা থেকে দোকানপাট খুলবেন ব্যবসায়ীরা। কারণ ব্যবসায়ীদের পিঠ ঠেকে গেছে দেয়ালে। পরিবার পরিজন নিয়ে বেচে থাকতে হলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই তাদের। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছি আমরা। এমনিতেই দেয়ালে পিঠ লেগে গেছে আমাদের। ঘোষিত এক সপ্তাহের লকডাউনের পর যদি আর লকডাউন দেয়া হয় তাহলে আমরা তা না মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখব।

সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মুনিম মল্লিক মুন্না বলেন, এক সপ্তাহরে লকডাউনের পর যদি আর লকডাউন দেয়া হয় তাহলে মানা হবে না তা। শনিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় আমরা কোর্ট পয়েন্টে মানবন্ধন করব এবং রবিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হবে সিলেটে ।