Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রাণীদের জন্যে প্রথম ভ্যাকসিন আনল রাশিয়া

১৪ কোটি মানুষকে টিকা দিয়েছে চীন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

চীনে গত রোববার পর্যন্ত প্রায় ১৩ কোটি ৯৯ রাখ ৭০ হাজার নাগরিককে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। সোমবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এই তথ্য জানিয়েছে। এর মধ্যে শনিবার থেকে রোববার ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৩২ লাখ ৯০ হাজার নাগরিককে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এদিকে, করোনার বিরুদ্ধে লড়তে এবার পশুদের জন্যে ‘কার্নিভাক-কোভ’ নামে একটি ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন করেছে রাশিয়া।

এর আগে গত শুক্রবার চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক জানায়, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির জন্য তাদের তৃতীয় কারখান প্রস্তুত হয়েছে এবং সেখানে ভ্যাকসিনের উপাদানগুলো প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন করা শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সিনোভাকের এক মুখপাত্র বলেছেন, বেইজিংয়ে তৃতীয় কারখানায় করোনাভাইরাস জন্মাবে এমন কোষের চাষ শুরু হয়েছে। এই পদ্ধতিতে তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।

সিনোভ্যাক বছরে ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। তবে তারা কবে নাগাদ এই পরিমাণ উৎপাদন শুরু করবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। সিনোভ্যাকের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের নাম করোনাভ্যাক। ইতিমধ্যে তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বিতরণ করেছে বলে জানানো হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে যে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ কোটি মানুষকে তাদের ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে, একাধিক পরীক্ষার পর রাশিয়ার কৃষি নিয়ন্ত্রক সংস্থা গতকাল জানিয়েছে যে, কুকুর, বিড়াল, শিয়াল এবং মিংকের শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এপ্রিল মাস থেকে ‘কার্নিভাক-কোভ’ নামে এই ভ্যাকসিনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোজেলখোজনাডজোর। রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটি দুর্বল প্রজাতিগুলিকে রক্ষা করতে এবং ভাইরাল মিউটেশনকে ব্যর্থ করতে সক্ষম হবে।

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাশিয়া এখনো পর্যন্ত দুটি বিড়ালের শরীরে করোনা ভাইরাসের খোঁজ পেয়েছে। ডেনমার্ক গত বছর তাদের খামারগুলি থেকে ১ কোটি ৭০ লাখ মিঙ্ককে হত্যা করেছে যখন তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে এই ভাইরাসগুলির একটি স্ট্রেন মানুষের থেকে তাদের শরীরেও পৌঁছাতে পারে। রোজেলখোজনাডজোর থেকে জানানো হয়েছে, রাশিয়ান পশুর খামারগুলি গ্রিস, পোল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়াতে ব্যবসায়ের জন্যে এই ভ্যাকসিন কেনার পরিকল্পনা করেছে। সোভিয়েত যুগ থেকে বিশ্ব বাজারে রাশিয়ার পশু খামারগুলি ব্যবসায়িক দিক থেকে ভালো স্থান দখল করেছিল। কিন্তু করোনার জেরে এবার সেই ব্যবসায় মন্দা দেখতে হয়েছে।

রাশিয়ার স্পুটনিক ভি মানব ভ্যাকসিন তৈরি করা ইনস্টিটিউটের প্রধান আলেকজান্ডার গিন্সবুর্গ সোমবার ইজভেসিয়া পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন যে, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে প্রাণীতে আঘাত হানতে পারে। মহামারীর পরবর্তী পর্যায় হ’ল খামার এবং গবাদি পশুদের ভাইরাস সংক্রমণ। সংস্থাটি জানিয়েছে যে অক্টোবরে ট্রায়াল শুরু হওয়ার পর থেকে প্রাণীগুলিকে কমপক্ষে ছয় মাস ধরে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে কিনা তা দেখা হয়েছে।তারপর আমরা সিদ্ধান্তে আসি যে ভ্যাকসিনটি প্রাণীর শরীরে ভাকসিনটি কার্যকর। সূত্র : রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ