নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কেবলই ক্রিকেটীয় কারণ, কিংবা দুর্ভাগ্য, নাকি প্রতারণার শিকার? ডাবল সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে ফখর জামানের রান আউট নিয়ে চলছে আলোচনার ঝড়। ‘ফেক ফিল্ডিং’-এর দায়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে কুইন্টন ডি কককে। প্রোটিয়া কিপার চেতনাবিরোধী ছল-চাতুরির আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতারের। তবে পাকিস্তানি ওপেনার দায় নিচ্ছেন নিজের কাঁধেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেও পাকিস্তানকে জেতাতে না পারার ফখর জামানের রান আউট নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক, চলছে আলোচনা-সমালোচনা। গতপরশু রাতে সেঞ্চুরিয়নে ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ৩১ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। একাই পাকিস্তানকে ম্যাচে রাখা ফখর ব্যাট করছিলেন ১৯২ রানে। দলকে জেতানো কঠিন হলেও দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরিটা পেয়ে যাবেন বলেই মনে হচ্ছিল।
লুঙ্গি এনগিদির শেষ ওভারের প্রথম বলটা লং অফের দিকে ঠেলে দুই রানের জন্য ছুটেন ফখর। প্রথম রান অনায়াসে নেওয়ার পর দ্বিতীয় রান নিয়ে ফেরার সময় ডি কক ফিল্ডারকে হাতের ঈশারায় নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে বল মারার ঈশারা করেন। ফখরও তাতে পেছন ফিরে তাকিয়েছিলেন, দৌড়ের গতিও তাই কমে যায় কিছুটা। তবে ফিল্ডার এইডেন মার্কামের ক্ষিপ্র থ্রো ছুটে যায় সরাসরি স্ট্রাকিং প্রান্তের দিকে। ভেঙ্গে যায় স্টাম্প। ফখর ফেরেন ১৯৩ রানে। এরপর ওই ওভারে আরও ৩ চার মেরে পরাজয়ের ব্যবধান কমান মোহাম্মদ হাসনাইন। দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৪২ রানের জবাবে পাকিস্তান হারে ১৭ রানে।
ম্যাচ শেষে এক টুইটার পোস্টে শোয়েব বলেন, ‘কি দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলেছে ফখর। ডাবল সেঞ্চুরি ওর প্রাপ্য ছিল। চেতনার বাইরে গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা তাকে ফেক ফিল্ডিংয়ের আশ্রয় নিয়ে আউট করেছে।’ হারার পরও ম্যাচ সেরা হওয়া ফখর অবশ্য জানান, ভুলটা তারই, ‘আমারই ভুল ছিল। আমি অন্য প্রান্তে হারিস রউফকে দেখতেই ব্যস্ত ছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল সে ক্রিজ থেকে একটু দেরিতে ছুটেছে, সে বিপদে পড়ছে মনে হয়েছিল। বাকিটা ম্যাচ রেফারির দেখার ভার। আমার মনে হয় না কুইন্টেনের কোন দায় এতে আছে।’
এই পর্যন্ত কথায় নির্দোষ একটি রান আউটই মিলছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার কথায় মিলেছে ভিন্ন আভাস, ‘কুইনি বেশ চালাকি করেছে। কেউ হয়ত সমালোচনা করতে পারে যে চেতনার সঙ্গে যায় কিনা। তবে উইকেটটি আমাদের জন্য গুরুত্বপ‚র্ণ ছিল। ফখর দলকে লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। কুইনি (ডি কক) খুব স্মার্ট ছিল এক্ষেত্রে।’
‘ফেক ফিল্ডিং’ নিয়ে ২০১৭ সালে আইন করেছে আইসিসি। তাতে বলা হয়েছে কোন ফিল্ডার ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করলে সাজা হিসেবে ৫ রান কাটা যাবে ফিল্ডিং দলের। মাঠের দুই আম্পায়ারের অবশ্য এমন কিছু মনে হয়নি। এই সাজা তখন হলেও ডাবল সেঞ্চুরি হয়ত পেতেন ফখর কিন্তু ম্যাচ জেতানো ওই ওভারের আগেই হয়ে পড়েছিল ভীষণ কঠিন।
দল হারলেও ম্যাচসেরা হওয়া ইনিংসটি বিশ্বরেকর্ডের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছে। রান তাড়ায় ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডটি এখন তার। ফখর টপকে গেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে শেন ওয়াটসনের করা অপরাজিত ১৮৫ রান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।