মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এই প্রথম ভারতে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ১ লাখ পারভারতে করোনা সংক্রমণে নতুন রেকর্ড। এই প্রথম দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখের গণ্ডি পেরোল। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৫৫৮ জন। একদিনে ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৪৭৮ জনের। করোনাকে হারিয়ে একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৫২ হাজার ৮৪৭ জন।
মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৬ লাখ ৮২ হাজার ১৩৬ জন। ভারতে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৩০। মোট মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার ১০১। এই অবস্থায় রোববার ভারেতের শীর্ষস্থানীয় আমলা ও স্বাস্থ্যকর্তাদের সামনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তীরে এসে তরী ডোবানো চলবে না। সূত্রের খবর, গোটা দেশে লকডাউন না-করে কী ভাবে করোনা প্রভাবিত রাজ্যে এলাকাভিত্তিক কনটেনমেন্ট জোন ও আংশিক লকডাউনের মাধ্যমে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায়, তারই রাস্তা খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী মনে করছেন, গত বছর গোটা দেশে লকডাউন জারি করে করোনার প্রকোপ রোখার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাওয়া গিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু দেশবাসীর রুটি-রুজির উপর তার প্রভাব পড়েছে যথেষ্ট। এই অবস্থায় বছর ঘুরতে না-ঘুরতেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আবার যদি লকডাউন ঘোষণা করতে হয়, তা হলে দেশের অর্থনীতিকে আর চাঙ্গা করা যাবে না, এমনটাই আশঙ্কা মোদির। তার মতে এই অবস্থায় সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ‘জন- আন্দোলন’ ও ‘জন-ভাগিদারি’, যেখানে ভারতের মানুষই করোনা প্রতিরোধক নিয়মাবলি মেনে লড়াই করবেন৷ তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে বিশেষ প্রচার-অভিযান করবে কেন্দ্র, যেখানে ১০০ শতাংশ মাস্কের ব্যবহার ও সুরক্ষাবিধি পালনের উপরে জনসচেতনতা বাড়ানোর কাজ করা হবে৷ মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে সাত দিনের এই প্রচার।
মহারাষ্ট্রে সপ্তাহান্তে কঠোর লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে উদ্ধব ঠাকরে সরকার। শুক্রবার রাত ৮টা থেকে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কঠোর লকডাউন চালু থাকবে। সেইসঙ্গে সোমবার রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ জারি থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবাকে নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গেও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় এ রাজ্যে করোনায় সংক্রমিত হয়েছে ১৯৫৭ জন, মৃত্যু হয়েছে চার জনের। এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ১৫৩ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ৪ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬১৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৩৪৪ জনের। রবিবার পর্যন্ত মোট ৫২ লাখ ৫১ হাজার ৪৬৫ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।