বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নগরীতে ভাসুরের মেয়েকে শ্বাসরোধে খুনের পর করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার চালানোর অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার আকবর শাহ থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর নয় মাস আগে সংঘটিত এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন তিনি। খুনের বর্ণনা দিয়ে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার জাহানের আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন। গ্রেফতার সুমি আক্তার সৌদিআরব প্রবাসী মো. আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। তাদের বাসা নগরীর আকবর শাহ থানার শাপলা আবাসিক এলাকায়। বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। হত্যাকাণ্ডের শিকার কুলসুম আক্তার (১৪) আলমগীরের বড় ভাই মৃত আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন জানান, কুলসুমের বয়স যখন দেড় বছর, তখন তার বাবা মারা যান। তার মা মেয়েকে ফেলে অন্যজনকে বিয়ে করে চলে যান। তখন দাদী ও ফুপু মিলে কুলসুমকে লালনপালন করতে থাকেন। প্রায় পাঁচ বছর আগে কুলসুমকে তাদের কাছ থেকে এনে চাচা আলমগীর নিজের সন্তানদের মতো লালনপালন করতে থাকেন। কিন্তু সেটা সুমি আক্তার মেনে নেননি। আলমগীর সৌদি আরব চলে যাবার পর কুলসুমকে গৃহকর্মীর মতো ব্যবহার করতে সুমি। প্রায়ই মারধর করতেন। করোনা মহামারির মারাত্মক পরিস্থিতির মধ্যে গত বছরের ৩ জুলাই কুলসুম আক্তার বাসায় মারা যান। তখন সুমি আক্তার থানায় জানিয়েছিলেন, কুলসুম জ্বর, সর্দি এবং শরীর ব্যথায় আক্রান্ত ছিল। করোনায় আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে এমন ধারণা দিয়েছিলেন সুমি। কিন্তু পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে পাওয়া যায়, কুলসুমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর জানা যায় গত বছরের ১ জুলাই সুমির সঙ্গে কুলসুমের ঝগড়া হয়। সুমি তাকে প্রচণ্ড মারধর করে। ২ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সুমি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।