গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ডেমরার বামৈল বড়ভাঙ্গা এলাকায় এক নিরীহ ব্যক্তির জমি দখল করে বালু ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে নামধারী এক ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে শুক্রবার ভুক্তভোগীরা ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন এবং এখন প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারা জানান, এই জমিতে আসলে প্রাণে মেরে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিবে বলেও হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, ডেমরা বামৈল বড়ভাঙ্গা এলাকার সরকারি মেডিকেল কলেজের পিছনে বসবাসের জন্য এক খন্ড জমি বাউন্ডারী ও বালু ভরাট করছেন আওলাদ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা। সম্প্রতি ৬৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নামধারী নেতা হাসান রনি (রবিন) এর নেতৃত্বে সিডি সুমন, জসিম উদ্দিন, আজিজ মিয়া, মহিবুল্লাহ, মমিনুল ইসলাম, করিমসহ বেশ কয়েকজনের একটি সিন্ডিকেট জমিটিতে জোড়পূর্বক দখল করে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন। ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেন ডেমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গেলে রহস্যজনক কারণে তার অভিযোগ না নিয়ে পুলিশ তার বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দিয়েছে। এতে আওলাদ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতা ও আতংকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেন জানান, আমাদের জমিতে আমরা বালুভরাট করে বাউন্ডারী করেছি। ডেমরা থানা থেকে এস আই আশ্রাফ, ছাত্রলীগ নেতা হাসান রনি (রবিন) ও জসিমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীবাহিনী এসে আমাদের জমিতে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়ে চলে যান। তাদের ভয়ে আমরা এলাকায় থাকতে পারছি না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতা হাসান রনি (রবিন) জানান, আমি কারো জমি দখলের সঙ্গে জড়িত নই। বালু ভরাটের ব্যবসা আমি করি। আমার এক আত্মীয়ের ক্রয়কৃত জমিতে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছি। অন্যদিকে অভিযুক্ত মহিবুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা আগে জমি কিনে বালু ভরাট করেছি।
ডেমরা থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, কারো জমিতে সাইনবোর্ড টানানো পুলিশের কোনো এখতিয়ারে নেই। ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঢাকা দক্ষিন জোনের ডিসি ইফতেখার ইসলাম জানান, জমি দখলের বিষয়ে কোন ছাত্রলীগ নেতা ও পুলিশ সদস্য জড়িত থাকলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।