Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে যেসব প্রতিষ্ঠান

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২১, ৬:১৮ পিএম | আপডেট : ১০:০৭ এএম, ৪ এপ্রিল, ২০২১


আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে শুরু হতে যাওয়া লকডাউনে জরুরি সেবাপ্রতিষ্ঠান, কাঁচাবাজার, ওষুধ ও খাবারের দোকানের পাশাপাশি পোশাক এবং অন্যান্য শিল্পকারখানা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। শনিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি লকডাউনে যেন মানুষের চলাচল যতটা সম্ভব বন্ধ করা যায়। কারণ, যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে মানুষের ঘরে থাকা জরুরি। তবে জরুরি সেবাপ্রতিষ্ঠান, কাঁচাবাজার, খাবার ও ওষুধের দোকান লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এ ছাড়া পোশাক ও শিল্পকারখানাগুলো খোলা থাকবে। কারণ, কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকদের বাড়িতে ফেরার বিষয় থাকে। এতে করোনার ঝুঁকি আরও বাড়বে। তবে কারখানায় শ্রমিকদের একাধিক শিফটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে। লকডাউনের বিষয়ে আজকালের (শনি ও রোববার) মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সোমবার থেকে সারাদেশ এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। শনিবার দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবংআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার বাসভবনে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়এবং ১৮ মার্চ প্রথম কারো মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর মহামারি নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ২৩ মার্চ প্রথমবারের মতো‘ সাধারণ ছুটির’ ঘোষণা দেয় সরকার। শুরুতে গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘ছুটি’ ঘোষণা হলেও পরে কয়েক দফা বাড়ানো হয়। টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষ হয় গত বছরের ৩০ মে। এর আগে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কয়েকদিন আগে দুই সপ্তাহের জন্য ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার।
নির্দেশনায় সব ধরনের জনসমাগম (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) সীমিত, উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সকল ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ, বিয়ে/জন্মদিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করার নির্দেশনা দেয় সরকার।
১৮ নির্দেশনায় রয়েছে- মসজিদসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করা, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিকযাত্রী বহন না করা, যানচলাচল সীমিত করা, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা, সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করা।
দেশে এখনপর্যন্ত ৬ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ১৫৫ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪১১ জন। এরমধ্যে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬ হাজার ৮৩০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয় এবং মৃত্যু হয় আরও ৫০ জনের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রতিষ্ঠান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ