Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১২১ বছর আগে রানি ভিক্টোরিয়া দেয়া চকলেট!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২১, ৫:০১ পিএম

যুক্তরাজ্যের প্রাচীন এক বাড়িতে খুঁজে পাওয়া গেল ১২১ বছরের পুরোনো চকলেট বার। চকলেট বারের টিনের কৌটাও অক্ষত রয়েছে। এর বিশেষত্ব হলো, দক্ষিণ আফ্রিকায় যুদ্ধরত ব্রিটিশ সেনাদের উৎসাহ দিতে ব্রিটিশ রানি ভিক্টোরিয়া এগুলো পাঠিয়েছিলেন। চকলেটের কৌটায় রানির হাতের লেখা শুভেচ্ছা বার্তাও ছিল।

জানা গেছে, ওই চকলেট স্যার হেনরি এডওয়ার্ড প্যাস্টন-বেডিংফিল্ডের। তিনি দ্বিতীয় বোয়ের যুদ্ধে (১৮৯৯-১৯০২) সাউথ আফ্রিকান রিপাবলিকের দুটি স্বাধীন স্টেটের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর পক্ষে যুদ্ধ করেন। ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলের নরফোকের অক্সবার্গ হলে ৫০০ বছরের পুরোনো একটি বাড়িতে হেনরির হেলমেট কেসের সঙ্গে ওই চকলেটের কৌটাও ছিল। অক্সবার্গ হলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ট্রাস্টের কালাচারাল হেরিটেজ কিউরেটর আনা ফরেস্ট বলেন, ‘আপনি হয়তো বড়দিনের উপহার হিসেবে এই পুরোনো চকলেট চাইবেন না। তবে এটা অক্ষত রয়েছে। এটা দারুণ এক আবিষ্কার।’

চকলেটের ওই কৌটার ঢাকনায় রানি ভিক্টোরিয়ার হাতের লেখায় শুভেচ্ছা বার্তা রয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা’। এ ছাড়া কৌটায় খোদাই করা আছে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯০০’। কৌটায় রানির একটি পোর্ট্রেটও রয়েছে। ন্যাশনাল ট্রাস্ট–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, তাদের ধারণা, যুদ্ধে অংশগ্রহণের স্মৃতি হিসেবে হেনরি তার হেলমেট ও চকলেট একসঙ্গে রেখেছিলেন। হেনরির মেয়ে ফ্রান্সেস গ্রেটহেডের ১০০ বছর বয়সে ২০২০ সালে মারা যান। তার মৃত্যুর পর এসব স্মৃতিস্মারক উদ্ধার করা হয়।

১৮৯৯ থেকে ১৯০২ সালে দ্বিতীয় বোয়ের যুদ্ধে ইংরেজ সেনাদের মনোবল বাড়াতে রানি ভিক্টোরিয়া এক লাখ চকলেট পাঠান, যার প্রতিটির ওজন হাফ পাউন্ড (২২৬ গ্রাম)। ওই সময় ব্রিটেনের তিনটি প্রধান চকলেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ছিল ক্যাডবেরি, ফ্রাই ও রাউনট্রি। এগুলো পরিচালনার দায়িত্বে ছিল কোয়েকার্স। তারা অবশ্য যুদ্ধের বিরোধী ছিল। তারা চকলেট সরবরাহের বিনিময়ে কোনো অর্থ নিতে চায়নি। তাই তারা চকলেটের টিনে ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করেনি। কিন্তু রানি চেয়েছিলেন, তার পাঠানো এই উপহারের কথা যেন ব্রিটিশ সেনারা জানতে পারেন। এ কারণে চকলেট উৎপাদনকারীরা কিছু চকলেট ব্র্যান্ডিং করতে রাজি হলেও কৌটায় ব্র্যান্ডিং করেনি।

সেই চকলেটের কিছু কৌটা টিকে থাকলেও আসল কৌটা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ন্যাশনাল ট্রাস্টের তথ্য অনুযায়ী, এত দিন পর চকলেটের কৌটার মূল মালিকের খোঁজ পাওয়া বিরল। চকলেট উপহার পেয়ে অনেকেই তা খেয়ে ফেলেছিলেন বলে চকলেট পাওয়া আরও কঠিন ছিল। সূত্র: রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাজ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ