বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আর কেন্দ্রে কেন্দ্র সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে আলোচিত মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। পৌরসভার অন্তত পাঁচটি কেন্দ্রে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এসএম হানিফের সমর্থকদের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল রানা মিঠুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ব্যাপক সংঘর্ষের রূপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের সমর্থকরাই বোমা বিস্ফোরণ করেন। এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনায় পুলিশের এক কনস্ট্রেবলসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়। পুলিশ ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
একাধিক সূত্রে জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কালকিনি পৌরসভার পাঙ্গাশিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিকারমঙ্গল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেলা ২টার দিকে নয়াচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিভাগদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসব কেন্দ্রে মেয়র প্রার্থী এসএম হানিফ ও বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল রানা মিঠু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান সবুজের সমর্থকদের সাথে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে কয়েকটি কেন্দ্র থেকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মসিউর রহমান সবুজের এজেন্ট বের করে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই পৌরসভায় প্রথম ইভিএমে ভোট হওয়ায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে বিরতীহিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকালে ভোটার বাড়তে থাকলেও দুপুরে কোন কোন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। কালকিনি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার ৪শ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৯৫৮ জন ও নারী ভোটার ১৬ হাজার ৪৪২ জন। নির্বাচন চলাকালে একজন জুডিশিয়াল বিচারকসহ মোট ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছে। এ নির্বচনে মোট ৬৭০ জন পুলিশ সদস্য, ২ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ৩টি টিম, গোয়েন্দা পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ৩০ জন করে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি প্রচুর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন। তবে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী কয়েকদিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট থেকে সরে যায়। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩০ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
এব্যাপারে মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ হয়েছে। কোথাও বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। সার্বিকভাবে ভোটার উপস্থিতও ভালো ছিল। আমরা সব দিক থেকে সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিকে পেয়েছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।