বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীতে দুই কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষে অনন্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। পবিত্র শবে বরাতের (সোমবার}রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের লালকুঠি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সজল আহমেদ (১৬) নামের অপর এক কিশোরকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়েছে। খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সাজ্জাদ, প্রান্ত ও ফেরদৌস নামে তিন কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে অনন্তের সঙ্গে ফেরদৌসের কথা কাটাকাটি এবং ঝগড়া হয়। তারই জের ধরে অনন্তকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।
অনন্তকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা বন্ধু সারোয়ার হোসেন ঘটনার রাতে দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, তারা ৮-১০ জন বন্ধু মিলে রাত ৯টা থেকে ফরাশগঞ্জ ঘাটে আড্ডা দিচ্ছিলো। এরপর রাত ১১টার দিকে তারা সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় স্থানীয় ফেরদৌস, আল আমিন, সাব্বিরসহ ৯-১০ জন মিলে অনন্ত ও সাজুকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা অনন্ত ও সাজুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক অনন্তকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘাতকদের সঙ্গে তাদের কোনো দ্ব›দ্বও ছিল না বলে জানায় সারোয়ার।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল খান জানান, নিহতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) ময়নাতদন্তের পর আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার পেটে ছুরিকাঘাত রয়েছে। আর সাজুর পিঠে ছুরিকাঘাত রয়েছে। তাকে জরুরি বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনন্তর বন্ধু সারোয়ারসহ আরো একজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
সুত্রাপুর থানার ওসি মামুনুর রহমান বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ছয় কিশোরকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে সাজ্জাদ, প্রান্ত ও ফেরদৌসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত ও গ্রেফতারকৃতরা দুটি কিশোর গ্রæপের সদস্য। ঘাট এলাকায় তারা আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে অনন্তের সঙ্গে ফেরদৌসের কথা কাটাকাটি এবং ঝগড়া হয়। তারই জের ধরে অনন্তকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, দুই ভাইয়ের মধ্যে অনন্ত ছিল ছোট। পরিবারের সঙ্গে গেন্ডারিয়া এলাকায় থাকতো। কেএম জুবলি স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো সে। নিহতের বাবা শাহাদাত হোসেন বলেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে অনন্ত শবে বরাতের নামাজ পড়বে বলে বাসা থেকে বের হয়। রাত ১২টার পর টেলিফোন আসে অনন্তকে কে বা কারা কুপিয়েছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে তার লাশ দেখতে পাই। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।