Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ওরা টেনে-হিঁচড়ে ঘুমন্ত মানুষটাকে নিয়ে গেল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

রাজধানী এক্সপ্রেসে ২০০৯ সালে মাওবাদী হামলার ঘটনায় তৃণম‚ল নেতা ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে তাকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার মধ্যরাতে ছত্রধর মাহাতোর লালগড়ের বাড়ি ঘিরে ফেলে এনআইএ কর্মকর্তারা। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার জঙ্গলমহলে ভোট ছিল। এর মধ্যে অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে প্রায় ১০ বছর পর ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বর্তমানে তৃণম‚লের রাজ্য কমিটির সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো। ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তি মাহাতো বলেন, ‘শনিবার ছত্রধরের মা অসুস্থ হয়েছিলেন। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন ছত্রধর। শেষরাতে বাড়িতে একসঙ্গে ৪০ জন এনআইএ কর্মকর্তা হানা দেন। লালগড়ের আমলিয়া গ্রামের মাটির ঘরে নড়বড়ে কাঠের দরজায় সজোরে ধাক্কা দিতে থাকেন তারা। জওয়ানদের পোশাক পরা একদল লোক সোজা ঢুকে পড়েন শোয়ার ঘরে। প্রায় ধাক্কা দিয়ে ঘুমন্ত ছত্রধরকে তুলে টেনে-হিঁচড়ে ঘরের বাইরে নিয়ে যান তারা।’ তিনি আরও বলেন, ‘জানি না কেন ওরা হঠাৎ এসে এভাবে নিয়ে গেল। কোনো কাগজপত্র সঙ্গে ছিল না। কেন নিয়ে যাচ্ছে, তাও আমাদের বলেনি। উনি (ছত্রধর) বারবার জানতে চেয়েছিলেন, কী এমন করেছেন যে এভাবে নিয়ে যেতে হবে? অফিসার বললেন, এখন এসব বলার সময় নেই। সঙ্গে যেতে হবে।’ নিয়তি মাহাতো জানান, ছত্রধরকে এভাবে কেন গ্রেফতার করা হলো, সে বিষয়ে সম্প‚র্ণ অন্ধকারে তারা। বিপদের সময় ফোন করেছেন ছত্রধরের আইনজীবী কৌশিক সিনহাকে। তিনি আপাতত আইনিভাবে মোকাবিলা করছেন। তবে গ্রেফতারের নামে তার সঙ্গে যে আচরণ করা হলো, তা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না নিয়তি মাহাতো। এবিপি, এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ