বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাদারীপুরের শিবচর থেকে শিশু রায়হান মুন্সীকে অপহরণের তিন দিন পর জামালপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় চার অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশের সদস্যরা। শনিবার বেলা ১২টার দিকে মাদারীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। পরে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ২৩ মার্চ মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার সন্যাসীরচর ইউনিয়নের চরগুপ্তেরকান্দি গ্রামের শাহজাহান মুন্সীর পাঁচ বছর বয়সী ছেলে রায়হায় মুন্সীকে বিস্কুট খাওয়ানোর কথা বলে দোকানে নিয়ে যায় স্থানীয় মোহাম্মদ হোসেন ওরফে বিল্লাল মুন্সীসহ কয়েকজন। অনেক খোজা-খুঁজির পরেও না পেয়ে ওই দিন রাতে শিবচর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন শাহজাহান মুন্সী। এক পর্যায়ে ২৪ মার্চ শাহজাহান মুন্সীর কাছে দশ হাজার টাকা বিকাশে দাবী করেন ছালাম মুন্সী নামে এক ব্যক্তি। পরে ছালাম মুন্সীসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে সেই দিন রাতেই শিবচর থানা নারী ও শিশু দমন আইনে মামলা দায়ের করে। এই ঘটনায় বিকাশে দশ হাজার টাকা দেয়া হলে, সেই সূত্র ধরে ঢাকার ডিবির একটি চৌকস দলের সাথে শিবচর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ২৬ মার্চ রাতে জামালপুর সদরের রেল স্টেশন এলাকার একটি রেস্টুবেন্ট থেকে শিশু রায়হান মুন্সিকে অক্ষত উদ্ধার করে। এসময় চার অপহরণকারীকে গ্রেফতারও করা হয়। অপহরণকারী হলেন, শিবচর উপজেলার সন্যাসীরচর ইউনিয়নের চরগুপ্তেরকান্দি গ্রামের ছালাম মুন্সীর ছেলে মোহাম্মদ হোসেন ওরফে বিল্লাল মুন্সী (২২), একই গ্রামের আল-আমীন ওরফে রাসেল মুন্সি (১৯), ছালাম মুন্সি (৫০) ও শিরিনা আক্তার পারভিন (৪০)। পরে জেলা পুলিশের কাছে অপহরণকারীদের পাঠানো হয়।
উদ্ধার হওয়া শিশু পিতা শাহজাহান মুন্সি বলেন, ‘আমার শিশু সন্তানকে পুলিশ যেভাবে দ্রুত উদ্ধার করেছে, তাতে আমি প্রাণভরে খুশি। যারা অপহরণ করেছে তারা আমার আপনজন। মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করেছিল। যা আমার দিতে হয় নাই। অল্পতেই উদ্ধার করা গেছে। এদের কঠোর বিচার চাই। যেন আগামীতে এমন কাজ করতে না পারে।’
এব্যাপারে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘অপহরণকারীদের বাড়ী তাদের একই এলাকায়। তারা সর্ম্পকে শাহজাহান মুন্সী চাচাতো ভাই ও নিকট আত্মীয়। প্রাথমিক পর্যায়ে তারা দোষ স্বীকার করেছেন এবং অপহরণকারীদের সাথে জমি-জমা নিয়ে পূর্ব থেকেই বিরোধ ছিল। যে কারণে অপহরণ করেছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। রিমান্ডে নিলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডমিন ও ক্রাইম) মোহাম্মদ আবদুল হান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) চাইলাউ মারমা, শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।