মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে তীব্র গণবিক্ষোভ চলার মধ্যেই দেশটির সেনাপ্রধান মিন অ্যং হ্লেইং ঘোষণা করেছেন- ‘দেশের জনগণের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় সামরিক বাহিনী। অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।’
দেশটিতে বর্তমানে যারা বিক্ষোভ করছেন, তারা আসলে আন্দোলনের নামে মিয়ানমারের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার ক্ষতি করছেন বলেও মন্তব্য করেছেন হ্লেইং। আন্দোলনের কারণে মিয়ানমারের নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। যদিও কবে নাগাদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে সেখানে, সে সম্পর্কিত কোনো ইঙ্গিত দেননি সেনাপ্রধান।
গতকাল শনিবার (২৬ মার্চ) মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দিবস উপলক্ষে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেলে এক ভাষণে মিন অ্যং হ্লেইং বলেন, সেনাবাহিনীও গণতন্ত্র চায় এবং একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজন করাই মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মূল উদ্দেশ্য।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে এ পর্যন্ত ৩২৮ মানুষকে হত্যা করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। শুক্রবারও দেশটিতে ৪ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে।
নিহতদের ৯০ শতাংশকেই গুলি করে এবং তাদের এক-চতুর্থাংশকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ অ্যাসিস্টান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) ও স্থানীয় বিভিন্ন মিডিয়ার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। তবে জান্তা সরকারের এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৬৪ জন বিক্ষোভকারী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ৯ সদস্য নিহত হয়েছেন।
নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর থেকে দেশটির লাখ লাখ মানুষ সেনাশাসনের অবসানের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন। গৃহবন্দি নেত্রী অং সান সু চির মুক্তি এবং নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি করছেন তারা। অভ্যুত্থানবিরোধীদের এই বিক্ষোভ দেশটির বড় বড় শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে।
এরপর থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে অচলাবস্থার সূচনা হয়। প্রাত্যহিক বিক্ষোভ ও অবরোধের কর্মসূচির কারণে ব্যবসায়িক পরিবেশ রুদ্ধ হওয়ায় অচল হয়ে গেছে দেশটির দৈনন্দিন প্রশাসনিক কার্যক্রম। সূত্র : এএফপি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।