ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। এজন্য অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের ১৩শ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া সাদা পোশাকে কাজ করবে আরও দুইশ পুলিশ সদস্য।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকালে জেলার শ্যামনগরের মুহাসীন কলেজ মাঠে নিরাপত্তা বিষয়ক ব্রিফিংকালে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় অতিথির সফর নির্বিঘ্নে করতে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরস্থলসহ সংলগ্ন এলাকার সম্ভাব্য ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ ও ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি বাড়ির সদস্য সংখ্যাসহ বিবরণী তৈরি করা হয়েছে। হেলিপ্যাড ও মন্দিরসহ এর চারপাশের পাঁচ কিলোমিটার এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। যা প্রতিনিয়ত দুটি কন্ট্রোল রুম থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া সমগ্র সাতক্ষীরা জেলাতেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় অতিথি অর্থাৎ ভিভিআইপির সফরে দায়িত্ব পালনে ন্যূনতম অবহেলা ছাড় দেওয়া হবে না। যৌক্তিক কারণ থাকলে তাকে ছুটি দেওয়া হবে। কিন্তু স্টেশনে থাকলে তাকে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বও তদারকি করা হচ্ছে উল্লেখ করে ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, কারো গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে তাকে তাৎক্ষণিক সরিয়ে নেওয়া হবে। দায়িত্ব পালনকালে স্বাস্থ্যগত কোন সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নজরুল ইসলাম।
এছাড়া খুলনা বিভাগে পুলিশের কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২৭ মার্চ সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যশোরেশ^রী কালী মন্দির পরিদর্শন করবেন।