মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনায় কাহিল ভারতের জন্য আরও দুঃসংবাদ নিয়ে এসেছে করোনার নতুন ধরণ। এতে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির সাধারণ মানুষের মধ্যে।
ভারতের ১৮টি রাজ্যে করোনাভাইরাসের একটি নতুন ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ পাওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এগুলোর সঙ্গে রাজ্যগুলোতে সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্পর্ক আছে কি না- সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় স্তরে ১০টি নমুনা পরীক্ষাগারকে নিয়ে জেনোমিক্স বা জিনগত গঠন সংক্রান্ত ভারতীয় সার্স-কভ-২ সংগঠন ‘ইনসাকগ’ গড়ে তোলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
শুরু থেকেই সংগঠনটি কোভিড-১৯ ভাইরাসের জিনগত গঠন ও এই ভাইরাসের মিউটেশন বিশ্লেষণ করছে। ভাইরাসের জিনগত গঠনের সঙ্গে মহামারি ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতাও রয়েছে। তবে বিভিন্ন ভাইরাসের জিনগত রূপান্তর একটি স্বাভাবিক ঘটনা এবং এ ধরনের ঘটনার প্রমাণ প্রায় সব দেশেই মেলে।
বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এদিন করোনা শনাক্ত হয় ৪৭ হাজার ২৬২ জনের; প্রাণ হারিয়েছেন ২৭৫ জন।
ইনসাকগ কাজ শুরুর পর থেকে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে পাঠানো ১০ হাজার ৭৮৭টি পজিটিভ নমুনা বিশ্লেষণ করেছে। পরে তারা উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে এমন ৭৭১টি পৃথক ধরন চিহ্নিত করেছে।
এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের ৭৩৬টি নমুনা, দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়া ৩৪টি নমুনা এবং ব্রাজিলে ছড়িয়ে পড়া একটি নমুনা রয়েছে। সারাদেশে ১৮টি রাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের প্রমাণ মিলেছে।
দেশে আসা আন্তর্জাতিক যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষা ও ভাইরাসের জিনগত গঠন বিশ্লেষণ করে দেখার পর এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে, নতুন ধরনের এ ভাইরাসে উদ্বেগের কারণ রয়েছে।
মহারাষ্ট্র থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার পর জানা গেছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ই৪৮৪কিউ এবং এল ৪৫২আর মিউটেশনের সঙ্গে নমুনার ভগ্নাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের মিউটেশন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দিয়ে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ায়। তবে ১৫-২০ শতাংশ নমুনার ক্ষেত্রেই এ ধরনের মিউটেশন পাওয়া গেছে।
কেরলের ১৪টি জেলা থেকে পাওয়া ২ হাজার ৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্য থেকে ১২৩টি নমুনায় এন৪৪০কে ধরনের ভাইরাসের প্রমাণ মিলেছে। এই ধরনের ভাইরাসও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে রোগাক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বাড়ায়।
অন্ধ্রপ্রদেশে ৩৩ শতাংশ নমুনা পরীক্ষায় নতুন ধরনের করোনার উপস্থিতির প্রমাণ আগেই মিলেছিল। তেলেঙ্গানাতে ১০৪টি নমুনার মধ্যে ৫৩টিতে এই ধরনের ভাইরাসের হদিস পাওয়া গেছে।
যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, সিঙ্গাপুর, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াসহ ১৬টি দেশে নমুনা পরীক্ষায় এন৪৪০কে ধরনের ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। বর্তমানে নতুন এই প্রজাতির বিষয়ে আরও গবেষণা ও অনুসন্ধান চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।