বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত। পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া সে স্থানটিও আগুনে পুড়ে অঙ্গার। কি করবে কিছু্ই তো করার নাই। কোথাও যাওয়ার তো জায়গা নেই, তাই সেই পোড়া মাটিতে আবারও নতুন করে ঘর তুলছেন অসহায় রোহিঙ্গারা।
কক্সবাজারের উখিয়ায় বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘর নতুন করে নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গারা। এ ছাড়া বিভিন্ন সেবা সংস্থার নেতৃত্বে সুপেয় পানি, শুকনা খাবার বিতরণ করা হয় তাদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থল ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
রোহিঙ্গারা জানান, প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন সেবা সংস্থার সাহায্যে বাঁশ, কাঠ ও ত্রিপল দিয়ে কোনোরকম বাসযোগ্য বসতি নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
সরেজমিনে আরো দেখা যায়, বেশকিছু সেবা প্রদানকারী সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের খাবার, পানি, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে সব সুযোগ-সুবিধা তাৎক্ষণিকভাবে পাচ্ছেন না রোহিঙ্গারা। উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জমিলা বেগম( ৬৫) বলেন কোনো কিছু বুঝে উঠার আগে সব কিছু শেষ। উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৯ এর মাঝি জিয়াবুল হক বলেন, তার ব্লকের ৮৩টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এনজিওরা সাহায্য করেছেন।
এ বিষয়ে এক বেসরকারি সংস্থার স্বাস্থ্যকর্মী জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে নানা ধরনের জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। এখন সেই পুড়ে যাওয়া স্থানগুলো থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে রোহিঙ্গারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
বুধবার পুড়ে যাওয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করেন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে প্রায় সাত ঘণ্টার আগুনে ১১ জনের মৃত্যুসহ নয় হাজার তিন শ ঘরবাড়ি, ১৩৬টি লার্নিং সেন্টার, দুটি বড় হাসপাতাল ও মূল্যবান জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ছাড়া মসজিদ, দোকানপাট ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার ভবন পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।