Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টিকা রপ্তানি সাময়িক স্থগিত করেছে ভারত

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২১, ৯:৩৯ এএম

করোনাভাইরাস প্রতিরোধের টিকার রপ্তানি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

বলা হচ্ছে, করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে সামনের সপ্তাহগুলোতে ভারতে টিকার চাহিদা বেড়ে যাবে। এ কারণে নতুন সিদ্ধান্তটি নেওয়া হলো। যাকে ‘সাময়িক’ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতি এপ্রিলের শেষ নাগাদ বহাল থাকতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে চলমান কোভাক্সের স্ক্রিমের আওতায় থাকা ১৯০টি দেশের টিকা সরবরাহে ভারতীয় সিদ্ধান্তের প্রবাহ পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারতের সবচেয়ে বড় টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট সম্প্রতি কয়েকটি দেশে অ্যাসট্রাজেনেকার টিকা দিতে দেরি করেছে, এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল রয়েছে।

ইতিমধ্যে ৭৬ দেশে ৬ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে ভারত। যার বেশির ভাগই অক্সফোর্ড-অ্যাসট্রাজেনেকার। এ টিকা বাংলাদেশেও এসেছে। ক্রয় চুক্তি ও কোভাক্স স্ক্রিমের আওতায় আরও টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে ঢাকার।

নতুন করে ভারতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত এলো। বুধবার চলতি বছরের মধ্যে দৈনিক হিসেবে রেকর্ড ৪৭ হাজারের বেশি আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছে ২৭৫ জন।

গত ১ এপ্রিল ভারতে টিকাদান শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৪৫ বছর বয়সীরা এ টিকার আওতায় রয়েছেন।

বিশেষ করে অক্সফোর্ড-অ্যাসট্রাজেনেকার টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।

এ দিকে ভারতে নতুন ধরনের ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ ধরনের ভাইরাসে দুইটি মিউটেশন বা ডিএনএ পরিবর্তনের দুই ধরনের ক্ষমতা থাকে, যা শরীরের সাধারণ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পাশ কাটিয়ে আক্রমণ করে বা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়।

দেশটিতে ১০ হাজার ৭৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের আরও ৭৭১টি ধরন শনাক্ত হয়েছে।

তার মধ্যে ৭৩৬টি যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসের ধরন, ৩৪টি দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া ধরন আর একটি ব্রাজিলের ভাইরাসের ধরন পাওয়া গেছে।

তবে এসব নতুন ধরনের সঙ্গে সম্প্রতি করোনাভাইরাস রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধির কোন সম্পর্ক থাকার কথা নাকচ করে দিয়েছে সরকার।

এই মাস থেকে দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হঠাৎ করে অনেক বেড়ে গেছে। যদিও এক বছর ধরে করোনাভাইরাস বিপর্যয়ে থাকা দেশটির স্বাস্থ্যখাত অনেকটাই নাজুক হয়ে পড়েছে।

দিল্লি ও মুম্বাই শহর কর্তৃপক্ষ এর মধ্যেই বিমানবন্দর, রেল স্টেশন এবং শপিং মলের মতো জায়গায় গণহারে র‍্যাপিড টেস্ট করার নির্দেশনা জারি করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ