বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার গজুকাটা সীমান্ত এলাকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এখনো শান্ত হয়নি। বুধবার সকালে বিজিবি’র প্রতিবাদে বিএসএফ সীমান্ত এলাকার জিরো লাইনের ২০ গজের ভেতর থেকে একটি বাঙ্কার সরিয়ে নিয়েছে। তবে রাত সাড়ে ৮ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সীমানা পিলারের নিকটবর্তী অপর বাঙ্কারগুলো এখনো রয়েছে।
এদিকে দুপুরে বিজিবি ৫২’র কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্ণেল মো: শাহ আলম সিদ্দিকী গজুকাটা সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেছেন। তিনি মসজিদ নির্মাণ কাজ যাতে দ্রæত সম্পন্ন করতে পারেন সে জন্য সংশ্লিষ্ট মহলে যোগাযোগ চলছে বলে এলাকাবাসীকে আস্বস্থ্য করেছেন বলে জানাগেছে।
রাতে ৫২’র কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্ণেল মো: শাহ আলম সিদ্দিকী’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গজুকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয় নি। মঙ্গলবার বিকেলের বৈঠকে এ নিয়ে বিএসএফকে চাপ প্রয়োগ করলে তারা উর্ধ্বতন মহলের সাথে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত জানাবে বলে বৈঠকস্থল ত্যাগ করে। বিজিবি সিইও জানান, রাত ৮ টা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন পজিটিভ সিদ্ধান্ত আসেনি। বিষয়টি বিজিবি’র উপর মহলেও জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
এলাকাবাসী জানান, ২’শ বছরের পুরনো গজুকাটা জামে মসজিদ ভবনটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় তা সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তারা। গেল সাপ্তাহে প্রবাসীদের অর্থায়নে এই মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু হলে তাতে বাঁধা প্রদান করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আর এরপর থেকে মসজিদটির নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, কাটাতারের ভেতরে অর্থাৎ ১৩৫৭ নং পিলারের আওতায় ভারতীয় ৭১ পরিবার এবং ১৩৫৭/ ১-টি ৪ এস থেকে ৭ এস পিলার এর আওতায় আরো ভারতীংয় ৬ পরিবার বসবাস করে আসছেন। এসব পরিবারের সদস্যদের সাথে কৌশলে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, এই মসজিদটি ২শ বছরের পুরণো। তাদের বাপ দাদারা এই মসজিদে বাংলাদেশীদের সাথে নামাজ আদায় করে গেছেন। এখনো অনেকে এখানে পরিস্থিতি শান্ত থাকলে নামাজ পড়েন। ভারতীয় এসব নাগরিকদের মতে, এখানে মসজিদ নির্মাণে বিএসএফ’র বাঁধা প্রদান অযৌক্তিক। তারা সীমান্ত এলাকায় শান্তি প্রত্যাশা করেন।
গজুকাটা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভারতের অংশে ভারতীয়রাও করেছে। তাতে বিজিবি কোন রকমের বাঁধা দেয় নাই। কিন্তু বিএসএফ বাঁধা প্রদান করে কাজ বন্ধ করে দেয়। তারা জানান, পুরনো এই মসজিদের পাশেই তাদের ঈদগাহ ছিল। আর এই ঈদগাহর জায়গায় তারা মসজিদ নির্মাণ করছেন। এলাকাবাসী যাতে তড়িৎ গতিতে মসজিদ নির্মাণ করতে পারেন সে জন্য সরকারের উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামণা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।