পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাঁশ, কাঠ আর পলিথিন দিয়ে তৈরি ছিল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের খুপরিগুলো। এই ঘিঞ্জি এলাকায় এখন শুধু কয়লা আর ছাইয়ের স্তূপ। আগুনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৪৫ হাজার মানুষকে কেবল নিঃশেষই করেনি, কেড়ে নিয়েছে ১১ জনের প্রাণ। চারদিকে শুধুই হাহাকার।
বছর চারেক আগে মাতৃভূমি থেকে যখন বিতাড়িত হন শামসুল হক তখনও তার সঙ্গে ছিল জামাকাপড়সহ কিছু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। বাংলাদেশে আসার পর আস্তে আস্তে সংসারে জিনিসপত্র বাড়াতে থাকেন। সোমবারের আগুনে সবই হারিয়েছেন তিনি।
বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ৮ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা শামসুল জানান, ‘মিয়ানমার থেকে আমরা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে পেরেছি। কিন্তু এই আগুন থেকে আমাদের কিছুই রক্ষা হয়নি। সবকিছু আগুন কেড়ে নিয়েছে।’
শামসুলের মতো মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আরও ৪৫ হাজার মানুষের। আকাশের নিচে অনিশ্চিত এক পরিস্থিতিতে পড়েছেন তারা।
৯ নম্বর ক্যাম্পে পোড়া ঘরের সামনে বিলাপ করছিলেন রোহিঙ্গা গৃহবধূ ফরিদা খানম। তিনি জানান, ‘তিল তিল করে গত চার বছর আমার সোনার সংসার গড়ে তুলেছি। নিজ দেশে বিতাড়িত হয়ে এ দেশে এসে নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমার সব স্বপ্ন মুহূর্তে কেড়ে নিল।’
পুড়ে যাওয়া আরেকটি ঘরের বাসিন্দা ছনোয়ারা খাতুন জানান, ‘আগুনে আমার হাঁড়িপাতিল সব পুড়ে গেছে। কিছুই বের করতে পারিনি। গলার হার, কানের দুল, নাকের ফুল সব পুড়ে গেছে। এখন আমার কী হবে?’
সোমবার বিকেল ৪টার দিকে চার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগে, যা নিয়ন্ত্রণে আসে রাত সাড়ে ৯টার দিকে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, তাদের কক্সবাজার, উখিয়া, টেকনাফ ও রামু স্টেশনের ছয়টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে যোগ দেয় সেনাবাহিনীও।
দুর্যোগ ও ত্রাণসচিব মো. মহসীন জানান, মৃতদের মধ্যে ক্যাম্প ৮ এর ই-তে একজন, একই ক্যাম্পের ডব্লিও ব্লকে পাঁচজন এবং ক্যাম্প-৯ এ পাঁচজন মারা গেছেন। অন্যদিকে আগুনে পুড়ে গেছে ৯ হাজার ৩০০ বসতি। এসব ঘরে বাস করা প্রায় ৪৫ হাজার লোক নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতিসংঘের অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা আইওএমের নেতৃত্বাধীন ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের (আইএসসিজি) কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ তাফহিম জানান, ক্যাম্পভিত্তিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তৈরি একটি হিসাব অনুযায়ী, বালুখালীর ৮-ই ক্যাম্পে ঘরের সংখ্যা ৬ হাজার ২৫০, আর লোকসংখ্যা ২৯ হাজার ৪৭২ জন, ৮-ডব্লিউ ক্যাম্পে বাড়ি ৬ হাজার ৬১৩টি, আর লোকসংখ্যা ৩০ হাজার ৭৪৩ জন, ক্যাম্প ৯-এ বাড়ি ৭ হাজার ২০০টি, লোকসংখ্যা ৩২ হাজার ৯৬৩ জন এবং ১০-এ ক্যাম্পে বাড়ি ৬ হাজার ৩২০টি, আর লোকসংখ্যা ২৯ হাজার ৭০৯ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।