বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিয়ের আসরে কনে ও বর পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মোহাম্মদ বেলাল নামে বরের এক চাচা নিহত হয়েছে। এছাড়াও উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। গত শনিবার আনুমানিক রাত ৮টার দিকে উখিয়ার বালুখালী পানবাজার ৯ নম্বর পুলিশ ক্যাম্পের সি ১৯ ব্লকে অবস্থিত শেডের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৮ এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার খান জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কনে খালেদা বিবির চাচাতো ভাইসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলো একই ক্যাম্পের মো. আরিফের ছেলে মো. আনোয়ার সাদেক ও তার সহযোগী আবদুর রহমানের ছেলে হারেসুর রহমান।
পুলিশ জানায়, বিয়েকে কেন্দ্র করে কনে খালেদা বিবি পরিবারের সদস্যদের সাথে বর মো. ইদ্রিসের পরিবারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত বরের চাচা মোহাম্মদ বেলালকে পুলিশ উদ্ধার করে তার্কিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহতরা হলেন- বরের বাবা মো. ইউনুস চাচা মো. আইয়ুব, প্রতিবেশী শিশু মো. উমর, মো. আইয়ুব, সিরাজুল ইসলাম, কনের বাবা আব্দুর রহমান, মামা হারেসুর রহমান এবং আনোয়ার সাদেক। আহতদের মধ্যে মো. ইউনুছ, মো. উমর, মো. আইয়ুব ও মোঃ আব্দুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, বর মো. ইদ্রিসের সাথে কনে খালেদা বিবির প্রেমের সম্পর্ক ছিল গত ৪ বছর ধরে। ঘটনার ৪ দিন আগে খালেদা ইদ্রিসের বাসায় চলে গেলে বরের পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। তবে এই বিয়ে মেনে নেয়নি কনে পক্ষ। গত শনিবার বরের বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে কনে পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে বর পক্ষের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। নিহত বরের চাচা বেলালের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উখিয়া থানার মাধ্যমে কক্সবাজারের সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ক্যাম্পে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে এপিবিএন সূত্র জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।