Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বাহুবলে মা-মেয়েকে হত্যার ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে ৫ জন

ইনকিলাব অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০২১, ৯:০১ পিএম

হবিগঞ্জের বাহুবলে গভীর রাতে মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হলেও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য জানানো হয়নি। শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকেলে দ্বীগাম্বর লামাপুটিজুরী শ্মশানে একই চিতায় দাহ করা হয়েছে মা অঞ্জলী দাস ও তার মেয়ে পূজাদাসকে। তাদের মুখাগ্নি করেন সঞ্জিত দাসের প্রথম পক্ষের সন্তান সৌরভ দাস। এ মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে অঞ্জলী ঘোষ ও পূজাদাসের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে আনা হয়। পরে মেডিক্যাল বোর্ড করে শুক্রবার সকালে দুই মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। মা ও মেয়েকে হত্যার পূর্বে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ময়নাতদন্তকারী চিতিৎসক ডা. মুমিন জানান, ময়নাতদন্তের বিষয়ে কিছু বলার নিয়ম নেই। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কিনা তার জন্য আমরা উভয়ের আলমত সংগ্রহ করেছি। এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা যাবে। নিহত অজ্ঞালীর স্বামী সঞ্জয় দাস জানান, তারা এখনও মামলা দায়ের করেননি। বাহুবল হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নেহার রঞ্জন দেব বলেন, আমরা এই ঘটনার দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তাদের ফাঁসি চাই।

বাহুবল উপজেলার ওসি তদন্ত আলমগীর কবির জানান, আমরা শীঘ্রই আপনাদেরকে ভাল খবর জানাতে পারব। কারন, রহস্য উদঘাটনের পথে এবং মামলাও প্রক্রিয়াধীন। কাউকে আটক করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশ কয়েকজনকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও যাছাই বাছাই চলছে। এদিকে, পুলিশ প্রকাশ না করলেও একটি সূত্রে জানা যায়, ঘটনার মূল নায়ক ও আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া সঞ্জিত দাসের প্রতিবেশী কাচামালের শ্রমিক আমীর আলী পুলিশের হেফাজতে থেকে সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেছে। এছাড়াও তার ফোনের কল লিস্ট থেকেও সন্দেহভাজনদের সনাক্ত করে আমীর আলিসহ ৫ জন এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফিংকালে সকল তথ্য প্রকাশ করবে। আমীর আলীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণেরও চেষ্টা চলছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) ভোররাতে বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের দ্বিগাম্বর বাজারে লামাপুটিজুরী গ্রামের সঞ্জিত দাসের স্ত্রী অঞ্জলী দাস (৩৫) ও তার মেয়ে পূজা দাস (৮)-এর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সঞ্জিত দাস কাঁচা মালের ব্যবসা করেন। তিনি স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে দ্বিগাম্বর বাজারে তিন তলা একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে আসছিলেন। ঘটনার দিন রাতে তিনি ব্যবসার কাজে সুনামগঞ্জে অবস্থান করছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি বাসায় এসে দেখেন তার স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিলেট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ